লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদনপত্র পূরনে এবার এগিয়ে এলেন কন্যাশ্রীর ছাত্রীরা। এতদিন নিয়েছেন, এবার ফেরত দিতে চান। খুশি এলাকার বাসিন্দারা।
মালদার চাঁচলের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্তোষপুর হাই মাদ্রাসার ছাত্রীদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকেরা।
জানা গিয়েছে ,চাঁচলের কাতলামারি গ্রামের বাসিন্দাদের দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে লক্ষ্মীর ভান্ডার স্বাস্থ্যস্বাথী কার্ড তৈরির ফর্ম বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে।
এলাকায় বেশিরভাগই অশিক্ষিত। ফলে 'লক্ষ্মীর ভান্ডার'-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ফর্মপূরণ করত অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন বহু মহিলা।
সে দিকে নজর রেখে এবার স্বেচ্ছায় রাজ্য সরকারের 'কন্যাশ্রী' প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্ত স্কুলছাত্রীরা এবার লক্ষ্মীর ভান্ডার ও স্বাস্থ্যসাথীর ফর্ম পূরণ করে দিচ্ছে।
আর মালদার চাঁচলের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্তোষপুর হাই মাদ্রাসায় দুয়ারে সরকার শিবিরে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ।
সেখানেই দেওয়া হচ্ছে সরকারি প্রকল্পের ফর্ম। কিন্তু অনেকেই সেই ফর্ম পূরণ করতে পারছেন না। যার কারণে সমস্যায় পড়ছেন শিবিরে আসা উপভোক্তারা।
এদিন ওই স্কুলের কন্যাশ্রী প্রাপ্ত ছাত্রীরা সম্পূর্ণ এগিয়ে আসেন। জনা ১৫ ছাত্রী নিজে হাতে উপভোগক্তাদের ফর্ম পূরণ করে দেন। ছাত্রীদের এমন উদ্যোগে খুশি উপভোগ তারা।
এক উপভোক্তা তাঞ্জিলা খাতুন বলেন,আমরা অনেকে আছি যারা ফর্ম পূরন করতে পারছি না। তাদের এই কন্যশ্রীরা যে ভাবে ফর্ম পূরনে সহযোগিতা করছে তাতে আমরা খুশি।
বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছে। এতে আমরা খুশি। সবা ছাত্রছাত্রীরাই যদি এভাবে এগিয়ে আসে তাতে উপকৃত হবে মানুষ।
চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য বলেন,প্রশংসনীয় উদ্যোগ। প্রচুর লোক এখানে ফর্ম নিতে ও পূরন করতে অসুবিধা হচ্ছে।
এই ছাত্রছাত্রীরা যে ভাবে এগিয়ে এসেছে তাতে তাদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এভাবে প্রত্যেককেই এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে যাঁরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য, অনেক কিছুই তো সরকার থেকে নিচ্ছি, তাহলে আমরা যদি বাকিদেরও একটু সাহায্য করতে পারি, ক্ষতি কি ?