মরশুমের শুরুতে মালদার বাগানে আমের মুকুল ধরতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে মালদা জেলার প্রায় ৮০ শতাংশ বাগানে আমের মুকুল ফুটে গিয়েছে।
লক্ষণভোগ, গোপালভোগ সহ অন্যান্য প্রজাতির আম গাছে ৭০ শতাংশ আমের মুকুল ফুটে গিয়েছে বলে উদ্যান পালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
এ ছাড়াও অন্যান্য প্রজাতির গাছগুলিতেও মুকুল ধরতে শুরু। ইতিমধ্যে জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের আম গাছ পরিচর্যা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ক্ষতিকারক কীট পতঙ্গের যাতে আমের মুকুল নষ্ট করতে না পারে তার জন্য কীটনাশক প্রয়োগ করার নির্দেশ দিচ্ছেন উদ্যানপালন দফতরের কর্তারা।
চলতি মরশুমে জেলার আমবাগান গুলিতে ব্যাপক আশার আলো দেখছেন আম চাষিরা। আবহাওয়া ঠিক থাকলে এবারও রেকর্ড ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মালদা জেলা উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে গত মরশুমে মালদা জেলায় মোট ৩১ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছিল। তার সবটাতেই মুকুল এসেছে।
তাতে আমের ফলন হয়েছিল ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ১০০ মেট্রিক টন। জেলায় এক হেক্টর প্রতি আমের ফলন ছিল ১১. ৯৩ মেট্রিক টন। হেক্টরপ্রতি সব থেকে বেশি ফলন হয়েছিল মালদা মানিকচক ব্লকের।
এ বছর জেলা উদ্যানপালন দফতরের উদ্যোগে নতুন করে আরও ৪৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তবে কৃষকদের আম গাছে রাসায়নিক প্রয়োগ বন্ধ করার পরামর্শ দিচ্ছেন উদ্যানপালন দপ্তরের কর্তারা।
উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক বলেন, এখন পর্যন্ত আবহাওয়া আম চাষের পক্ষে অনুকূল। আমের মুকুল ফোটার আগে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আমের পক্ষে অনেকটাই উপকারী হয়েছে। তাই সঠিক সময়ে জেলার প্রতিটি বাগানে মুকুল ফুটতে শুরু করেছে।
মুকুল ফোটা থেকে আমের গুটি হওয়া পর্যন্ত আবহাওয়া ঠিক থাকলে আমের ফলন ভালো হবে। গত বছর থেকে এই মরসুমে আমের ফলন বৃদ্ধির আশা করছি আমরা। তবে সম্পূর্ণটাই নির্ভর করছে জেলার আবহাওয়ার উপরে।