লাগাতার বৃষ্টিতে ফের ধস পাহাড়ে। ধসের জেরে ফের বন্ধ হয়ে গেল শিলিগুড়ি ও সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
অন্যদিকে ধস নামার পরই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়ে গিয়েছে ধস সরিয়ে রাস্তা সচল করে যান চলাচল স্বাভাবিক করার কাজ।
প্রসঙ্গত আবহাওয়া দপ্তরের মতে রাজ্য জুড়ে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস ছিলই। আর সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। কারণ বুধবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি চলছে কালিম্পঙে।
বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বড়সড় ধসের ঘটনা ঘটে। সেবকের করোনেশন সেতু পার করেই সেবক ও কালিখোলার মাঝে হাতিশুঁড় এলাকায় ওই ধসের ঘটনা ঘটে।
যার জেরে রাস্তার দুধারে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন, দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দল, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ আধিকারিকরা।
সকাল থেকে ধস সরানোর কাজ শুরু হলেও বিকেলের আগে ধস সরানোর কাজ শেষ হবে না বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
তবে একমুখি যান চলাচল যাতে শুরু করে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেদিকে জোর দিচ্ছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।
এর আগেও পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার একাধিক জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটেছিল।
এদিন সকালেও ধসের ফলে আটকে পরে প্রচুর সিকিমগামী যাত্রী ও মালবাহী গাড়ি। ইতিমধ্যে দুটো জেসিবিকে ধস সরানোর কাজে লাগানো হয়েছে।
দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, "কালিঝোরার কাছে বড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ধস সরানোর কাজ চলছে। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।"
অন্যদিকে এদিন এই ধরছে জেরে গুরুতর আহত হল 2 জন । জানা গেছে এদিন শিলিগুড়ি সালুগাড়া থেকে যাত্রী নিয়ে একটি অটো সেবকের দিকে যাচ্ছিল সেই সময় অটো উপরে পাহাড়ের উপর থেকে খসে পড়ে বড় বড় পাথরের টুকরো। ঘটনায় আহত হন অটোচালক গণেশ বর্মন (৬০) ও রিঞ্চেন তামাং।
ঘটনায় তাদেরকে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে শিলিগুড়ি উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।