আজ মহাষষ্ঠী। গোটা রাজ্যের সঙ্গেও শিলিগুড়িও বোধনে ব্যস্ত। যদিও এবার কোথাও তৃতীয়া আবার কোথাও চতুর্থীতে পুজো উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। ফলে জনতার ঢল শুরু হয়েছে তৃতীয়া থেকেই। আসুন এক ঝলকে দেখে নিই, শিলিগুড়ির কিছু মণ্ডপ ও দুর্গাপ্রতিমা।
সূর্যনগর ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাবের পুজো মণ্ডপ। পাখিদের রাজত্ব এবং প্রাচীন দালানে ঠাকুর পূজিত হয়েছেন। মণ্ডপসজ্জা ও রূপায়নে বিশেষ মুন্সিয়ানা দেখানো হয়েছে।
অরবিন্দপল্লির অরবিন্দ যুবক সংঘের মণ্ডপ। আলো ও রঙিন মণ্ডপের সাধারণ অথচ দৃঢ় কাজ চোখ টানছে।
স্বস্তিকার পুজো উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদিও ভার্চুয়ালি। তবে এখানকার পুজো নিয়ে উৎসাহ রয়েছে শহরবাসীর।
আশ্রমপাড়ার জুয়েল অ্যাথলেটিক ক্লাবে ফুটে উঠেছে পুরনো বাংলার ছোট ক্ষুদ্র বস্ত্র ব্যবসায়ীদের পুরনো ছবি. শপিং মলের ভিড়ে তাঁরা এখন কোণঠাসা। তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
ডাঙ্গিপাড়ার স্বস্তিকা যুবক সংঘের থিমেও ছিল অভিনবত্বের ছোঁয়া। স্বস্তিকাতে হারিয়ে যাওয়া বাংলার কিছু জিনিস ও শান্তির বার্তার কোলাজ। আলো আর সজ্জা মানানসই।
রবীন্দ্রনগরের রবীন্দ্র সংঘের পুজোয়, পড়াশোনার বই ভুলে শিশুশ্রমে বাধ্য হওয়া একটা শ্রেণির ছবি তুলে ধরা হয়েছে। এখানে শিশু শ্রমিকদের কাছে পৌঁছয়নি অক্ষরের জ্ঞান। কংক্রিটের তৈরি মণ্ডপে অভিনবত্ব রয়েছে।
দেশবন্ধুপাড়ার সুব্রত সংঘ বরাবরই নজরকাড়া পুজো করে। গত কয়েক বছরে করোনার কারণে কিছুটা থমকে গেলেও এবার ফের স্বমহিনমায়।
কলেজপাড়া সর্বজনীন শিলিগুড়ির মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের পাড়া। তিনি নিজেই এই পুজোর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। বিগত কিছু বছর ধরে এই পুজো সামনের সারিতে উঠে এসেছে।
সুভাষপল্লির বান্ধব সংঘের পুজো এবার ৭৫ বছরে পড়েছে। তাঁদের মণ্ডপসজ্জা নজর কাড়ছে শহরবাসীর।
নবগ্রামের উইনার্স ক্লাব শহরের সেরা পুজোগুলির মধ্য়ে অন্যতম। এবার অবশ্য় তাঁরা থিমের দিকে না গিয়ে প্রথাগত সাজেই প্রতিমা গড়েছেন। মণ্ডপও সুসামঞ্জস।