তিনটি প্রাচীণ কচ্ছপ। প্রত্যেকটির মুখ সেলাই করে বাঁধা। রীতিমতো কায়দা করে পাচার হচ্ছিল এই বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপগুলি।
বনদপ্তরের চোখে ধুলো দিয়ে ফিল্মি কায়দায় পাচার হচ্ছিল বিলুপ্ত প্রজাতির এই কচ্ছপ। শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড় এলাকা থেকে আটক করা হলো কচ্ছপগুলিকে।
অভিযান চালিয়ে বৈকুন্ঠপুর ফরেস্ট ডিভিশনের সারুগাড়া রেঞ্জের বন কর্মীরা উদ্ধার করে এই কচ্ছপ। উদ্ধার হওয়া ইন্ডিয়ান ফ্ল্যাপশেল প্রজাতির তিনটি কচ্ছপ। ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে বনকর্মীরা।
উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি করিডোর করে প্রতিদিনই পাচারকারীরা বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণী ও দেহাবশেষ পাচার করে। তাই নজরে রাকে বন দফতরও।
একই ভাবে শনিবার ফিল্মী কায়দায় বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কচ্ছপ পাচার করার পরিকল্পনা নেয় পাচারকারীরা । তবে এবার মাছের আড়ালে কচ্ছপ পাচারের ছককে বানচাল করল বন দপ্তর।
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির নিয়ন্ত্রিত বাজারে নিয়ে যাওয়ার মাছের গাড়িতে ওই কচ্ছপ পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। যাতে কেউ বুঝতে না পারে।
থার্মোকলের বাক্সের ভিতরে কচ্ছপ রেখে সেগুলিকে মাছ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। আপাত দৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে কার্টনের ভিতরে মাছ ভর্তি রয়েছে। কিন্তু তার নীচে যে কচ্ছপ পাচার করা হচ্ছে তা বোঝা মুশকিল।
ঘটনায় মহম্মদ হাদিজ, রোশন কুমার সাহানি, সুরেন্দ্র কুমার নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা।
গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার মাঝরাতে শিলিগুড়ি দার্জিলিং মোড়ে সারুগাড়া রেঞ্জের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় একটি মাছ ভর্তি পিকআপ ভ্যান।
সেই পিকআপ ভ্যানটিতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় তিনটি কচ্ছপ। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ওই কচ্ছপ বিহারের ভাগলপুর থেকে শিলিগুড়িতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
মূলত ওই কচ্ছপগুলির মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করা হচ্ছিল। ধৃতদের শনিবার জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এই চক্রের পিছনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর। এই এলাকা দিয়ে আগে বাঘের চামড়া, হরিণের চামড়া, বনরুই, হাতির দাঁত, সাপের বিষ সহ নানা সামগ্রী পাচার করা হচ্ছিল।