Advertisement

উত্তরবঙ্গ

তৃণমূল ব্লক সভাপতির শ্যালককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন, আলিপুরদুয়ার স্তব্ধ

অসীম দত্ত
  • আলিপুরদুয়ার,
  • 22 Jul 2021,
  • Updated 8:38 PM IST
  • 1/6

শাসক দলের মদতে ডলোমাইট বোঝাই লরি ও বালির খাদানের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোলের জেরে প্রকাশ্যে দিবালোকে  দুষ্কৃতিদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হলেন তৃণমূলের মাদারিহাট ব্লক সভাপতি সঞ্জয় লামার শ্যালক ঋতুরাজ তামাং ওরফে এলাকার 'ডন' বোকে ভাই। লাশেকর চেহারা দেখে শিউরে উঠেছে সাধারণ মানুষ।

  • 2/6

ডলোমাইট বোঝাই ওই লরি ও বালি খাদান থেকে এলাকার সমাজবিরোধীরা বহু দিন ধরে তোলা আদায় করে বলে অভিযোগ আছে।সমাজবিরোধীদের দুই দলের মধ্যে তোলা আদায়ের সেই বখরা নিয়ে ঝামেলার জেরে মাঝে মাঝেই ওই এলাকায় খুন জখমের ঘটনাও ঘটে। 
সেই তোলা আদায়ের বখরা নিয়েই কি প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হতে হল শাসক দলের ব্লক সভাপতির শ্যালককে?

  • 3/6

প্রাথমিক তদন্তে অবশ্য পুলিসের অনুমান, সম্ভবত টাকা পয়সা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলার জেরেই এই খুন হতে পারে। যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সঞ্জয় লামা এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের বয়স ৩৫ বছরে। ধারালো ভোজালি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়েছে বোকে ভাইকে। এদিন খুনের ঘটনাটি ঘটেছে বীরপাড়া থানার অধীন লঙ্কাপাড়া চা বাগানের ডাকবাংলো লাইনে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ও চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। খুনের ঘটনার পর গোটা লঙ্কাপাড়া চা বাগানে থমথমে পরিবেশ। এলাকায় পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে।

  • 4/6

বীরপাড়া থানার টুকরা খাসবস্তি, মাকরাপাড়া চা বাগান ও লঙ্কাপাড়া চা বাগান এলাকা দিয়ে ভুটানের গোমটু ও পাগলি থেকে বীরপাড়ায় রেলের ডলোমাইট বোঝাই লরি আসে। সেই লরি ও বালির খাদান থেকে তোলা আদায়ের কাজ করে বেশ কয়েকটি দল। সঞ্জয়বাবু বলেন, কি কারণে তাঁর শ্যালক ঋতুরাজকে দুষ্কৃতীরা খুন করল তা তিনি জানেন না। সঞ্জয় বলেন, খুনের ঘটনার তদন্তের দাবিতে পুলিসের কাছে পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। খুনের ঘটনার তদন্ত করে পুলিসকে দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে। 
 

  • 5/6

পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, ওই খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্ভবত টাকা পয়সা নিয়ে মতান্তরের জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটতে পারে। অপরাধীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই অভিযুক্তরা ধরা পড়বে।
দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় কত জন ছিল, বাগানের শ্রমিক ও পুলিশ কেউই এখনও তা জানাতে পারেনি। দুষ্কৃতিরা ঋতুরাজ তামাংয়ের শরীরের একাধিক জায়গায় ভোজালি দিয়ে কুপিয়ে এলাকা থেকে চুপিসারে চম্পট দেয়। এলাকায় ঋতুরাজ তামাং বোকে ভাই ডন হিসাবেই বেশী পরিচিত ছিল। ২০১৮ সালে লঙ্কাপাড়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে শ্যুটআউটের ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু হয়। ওই শ্যুটআউটের ঘটনায় পুলিসের খাতায় অভিযুক্ত হিসাবে নাম ছিল ঋতুরাজ তামাংয়েরও।

  • 6/6

ওই ঘটনার পর ঋতুরাজ অসমে পালিয়ে যায়। পরে পুলিস অসম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। বেশ কয়েক মাস হাজতবাসের পর জেল থেকে ছাড়া পায় ঋতুরাজ। এদিন ওই খুনের ঘটনার পর লঙ্কাপাড়া চা বাগানের পরিবেশ থমথমে হয়ে উঠেছে। এই খুনের ঘটনা নিয়ে এলাকার আতঙ্কিত চা শ্রমিকরা কেউই মুখ খুলতে রাজি হয়নি। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। দুষ্কৃতিদের খোঁজে পুলিশ এলাকা চিরুণি তল্লাশি চালাচ্ছে। যদিও পুলিশের একাংশের দাবি, ভুটান সীমান্ত অরক্ষিত বলে সমাজবিরোধীরা এ পারে যে কোনও ঘটনা ঘটানোর পরেই ভুটানের পাগলি ও গোমটুতে গিয়ে গা ঢাকা দেয়। শাসক দলের মদতেই  কি ভুটান সীমান্ত লাগোয়া বীরপাড়া থানার ওই এলাকা সমাজবিরোধীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে? যদিও শাসক দলের নেতাদের কাছে এই প্রশ্নের কোন উত্তর মেলেনি।

Advertisement
Advertisement