গানে-আড্ডায়-ফুচকা খেয়ে হালকা মেজাজে দার্জিলিংয়ে ঘুরে বেড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও গলা ছেড় গান ধরলেন, কখনও ডেকে নিলেন উপস্থিত সকলকে।
মঙ্গলবারই দার্জিলিংয়ে জিটিএ-র শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেখান থেকে পাহাড়বাসীর জন্য শান্তির বার্তা দেন।
তারপর তিনি পাহাড়ের শিল্প-বাণিজ্য উন্নয়নে একের পর এক প্রকল্পের ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়ে দেন, পাহাড়ি শান্তি থাকলে একের পর এক উন্নয়নের জোয়ার বইবে।
পাহাড়ের মানুষেরও প্রশংসা করেন তিনি। মুখ্য়মন্ত্রী পাহাড়ের শিক্ষিত সম্প্রদায় ও মহিলাদের জন্য বিশেষ সুযোগ সুবিধার কথাও ঘোষণা করেন।
এরপরই তিনি হালকা মেজাজে পাহাড়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। তিনি হেঁটে ঘুরতে ভালবাসেন। এদিন সপার্ষদ হাঁটতে বের হন পাহাড়ে।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিজিপিএম সভাপতি তথা জিটিএ সদস্য অনিত থাপা, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সহ অন্যরা। মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রথমেই চলে যান একটি ক্যাফেতে।
সেখানে বসে দার্জিলিংয়ের দৃশ্য দেখতে দেখতে কফি খান, সঙ্গে থাকা গায়ক-অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে গলা মিলিয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে শুরু করেন।
এরপরই তিনি বেরিয়ে পড়েন দার্জিলিংয়ের রাস্তায়। সেখানে নিজের ঢংয়েই গল্প করেন পাহাড়বাসীর সঙ্গে। অনেককেই কুশল জিজ্ঞাসা করতে দেখা যায় তাঁকে।
পর্যটকদের অনেকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কার্যত পাহাড়ের রাস্তায় জনসংযোগ সেরে নেন মুখ্যমন্ত্রী। স্থানীয়রাও এগিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
রাস্তার পাশে থাকা একটি দোকানের কর্ণধারের অনুরোধে সেটির উদ্বোধনও করে দেন তিনি। মিশে যান জনতার ভিড়ে। হাতের কাছে মুখ্যমন্ত্রীকে পেয়ে অভিভূত অনেকেই।
নিজের হাতে মহিলাদের কাছ থেকে ফুচকা নিয়ে খাওয়ান বাচ্চাদের। একজন বাংলাদেশি পর্যটক ছিলেন। তাঁকেও ফুচকা খাওয়ালেন সিএম।
কলকাতায় এখন দাবদাহ চলছে। পাহাড়ের মনোরম ও আরামদায়ক আবহাওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে দিব্যি ঘুরে বেড়ালেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
কথা দিয়ে গেলেন আবার আসবেন পাহাড়ের উন্নয়নের প্রকল্পের কর্মযজ্ঞে শামিল হতে। অনিত থাপাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি পাহাড়কে বদলে দিতে চান তা জানিয়ে গেলেন।
বুধবার ভানুভক্ত জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। জানালেন পাহাড়ে শান্তি থাকলে উন্নয়ন হবে। রাজ্যে শান্তি আছে, পাহাড়েও শান্তি থাকুক। সবার উন্নয়ন চাই।