দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি এখনও থেকেই যাচ্ছে। এর ফলে ধান চাষ ও পাট চাষের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা। আগামী কয়েকদিনের পূর্বাভাসেও স্বস্তির খবর নেই।
এমনিতেই জুন মাসে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কম হয়েছে। পাশাপাশি আগামী পাঁচ দিন ও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে। ফলে কপালে ভাঁজ আরও চওড়া হচ্ছে।
বেশিরভাগ বৃষ্টি হবে বিক্ষিপ্তভাবে খুব সামান্য সময়ের জন্য। একটু বৃষ্টি হবে আবার আকাশ পরিস্কার হয়ে যাবে এবং বিগত কয়েকদিন তাই হচ্ছে।
মূলত উপকূলের দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং দুই মেদিনীপুরে সামান্য একটু বেশি বৃষ্টি বেশি হবে। তা ছাড়া অন্য জেলাগুলিতে যতটা বৃষ্টি হলে স্বস্তি ফিরতে পারে সে সম্ভাবনা নেই।
আগামী চার থেকে পাঁচ দিন বিক্ষিপ্ত ও হালকা বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে। তাতে না জীব জগতের না চাষাবাদে বিন্দুমাত্র সুবিধা হবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও ৮০ শতাংশের বেশি থাকবে।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বেশি হলেও আগামী পাঁচ দিন ভারী কোনও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে উত্তরবঙ্গের দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে দুই থেকে তিন ডিগ্রি বৃদ্ধি পাবে। উত্তরবঙ্গে সাধারণত এতটা গরম পড়ে না। বৃষ্টিপাত কম হওয়ার জন্যই তাপমাত্রা বাড়বে উত্তরবঙ্গে।
এই মুহূর্তে একটি নিম্নচাপ আমাদের থেকে অনেক দূরে ওড়িশা উপকূলে রয়েছে। পাশাপাশি নিম্নচাপ অক্ষরেখা অনেকটাই দক্ষিণে। তাই আমাদের উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে।
দক্ষিণবঙ্গে জলীয় বাষ্প রয়েছে কিন্তু বৃষ্টি সম্ভাবনা নেই তাই আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। একই অস্বস্তি থাকবে উত্তরবঙ্গেও।
মৎস্যজীবীদের ১৫ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্র যেতে বারণ করা হয়েছে। কারণ ওড়িশা উপকূলের উপর নিম্নচাপের ফলে উপকূলের সমুদ্রতে হাওয়ার গতিবেগ থাকবে।