কালীপুজো মাটি করতে ভিলেন হবে বৃষ্টি (Rain)। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ (Depression) ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে। রবিবারের আগেই সেটি অতি গভীর নিম্নচাপে (Very Deep Depression) পরিণত হতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর (IMD Kolkata) জানাচ্ছে, সুপার সাইক্লোন (Super Cyclone) হচ্ছে না, তবে হতে চলেছে সাইক্লোন (Cyclone)। এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পড়বে সুন্দরবন (Sundarbans) এলাকায়। আগামী ২৪ ও ২৫ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড় প্রবেশ করবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Regional Meteorology Center ,Alipore) উপ-মহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Sanjeev Banerjee) জানিয়েছেন, আন্দামান সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আগামীকাল ২২ তারিখ নাগাদ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ২৩ তারিখ নাগাদ এটি অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর থেকে এটি বাঁক নিয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ২৪ তারিখ।
২৫ তারিখ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছাকাছি আসবে। কিন্তু অবস্থান করবে সমুদ্রের উপরেই। এর কারণে ২৪ ও ২৫ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলা দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হবে।
২৪ তারিখ দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে ঝোড়া হাওয়া বইতে পারে। হওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৪৫-৫৫ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ৬৫ কিলোমিটার। ২৫ তারিখ হাওয়ার গতিবেগ একটু বাড়বে। ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার বৃষ্টির পরিমাণ একটু বাড়বে। কলকাতা এবং কলকাতা সংলগ্ন হাওড়া, হুগলিতে হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
রবিবার থেকেই সমুদ্র উত্তাল হতে পারে। ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যে মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে গিয়েছেন, তাঁদেরও ২২ তারিখের মধ্যে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে সুন্দরবনে। তাই ২৪ ও ২৫ তারিখ সুন্দরবনের নদীতে ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকবে।