Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ

বক্সা ফোর্টে চলছে সংস্কার, শীঘ্রই খুলে দেওয়া হবে পর্যটকদের জন্য

অসীম দত্ত
  • আলিপুরদুয়ার,
  • 29 Sep 2021,
  • Updated 8:25 AM IST
  • 1/7

ব্রিটিশ আমলের ইতিহাসকে অবিকৃত রেখেই ঐতিহাসিক বক্সা ফোর্টের (Buxa Fort) কোলে গড়ে ওঠা ক্যাফেটেরিয়াতে বসে গরম কফিতে চুমুক দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতিরোমন্থন করতে পারবেন দেশ-বিদেশের পর্যটকরা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,৮৪৪ মিটার উচ্চতায় দুর্গম এই বক্সা ফোর্টে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের তত্বাবধানে এই মুহূর্তে জোরকদমে চলছে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের কাজ। 
 

  • 2/7

সম্প্রতি এই ফোর্টের সীমানা প্রাচীর পুনর্নির্মাণের সময় একটি গোপন সুড়ঙ্গ ও নিকাশি নালার সন্ধান পেয়েছেন খননকারী দলের সদস্যরা। সেই সঙ্গে প্রাচীন কালের বৌদ্ধ ধর্মগুরুর একটি আসনও উদ্ধার হয়েছে এই ঐতিহাসিক ফোর্ট থেকে। সেই আসনে বসেই বৌদ্ধ ধর্মগুরু তাঁর শিষ্যদের উপদেশ বাণী দিতেন বলে অনুমান পুরাতত্ত্ববিদদের।
যা অতি শীঘ্রই পর্যটকদের সামনে তুলে ধরা হবে।

  • 3/7

খননকারী দলের সদস্যদের মধ্যে কৌতুহল ছড়িয়েছে আরও নতুন কিছু আবিস্কারের বিষয়ে। ২০২০ সালের অগাষ্ট মাস থেকে ভগ্নপ্রায় এই ঐতিহাসিক বক্সা ফোর্টের সংস্কারের কাজ শুরু করে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ। সেই কাজ এখনও চলছে। ইতিহাসকে বিকৃত না করেই সাজিয়ে তোলা হচ্ছে এই বক্সা ফোর্টের (Buxa Fort) চারপাশ। পুননির্মাণ চলায় নিরাপত্তার কারণে ২০২০ সাল থেকেই ফোর্টের ভিতরে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

  • 4/7

বিভিন্নমহল থেকে দির্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল যে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে ব্রিটিশ আমলের এই ঐতিহাসিক নিদর্শনটি। এছাড়াও কিছু পর্যটকদের দ্বারাও বিভিন্ন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঐতিহাসিক এই ফোর্ট।

  • 5/7

১৮৬৫ সালের ১১ নভেম্বরের আগে এই বক্সা ফোর্টটি ভুটানের (Bhutan) রাজার দখলে ছিল। কিন্তু ১৮৬৫ সালের ১১ নভেম্বরের পর সিনচুলা চুক্তির মাধ্যেমে এই ফোর্টের দখল নেয় তৎকালীন ব্রিটিশ (British) সরকার। তারপর থেকেই বিভিন্ন সময় এই ফোর্টে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এনে বন্দী করা রাখা হত। সেই সময় আন্দামান সেলুলার জেলের পরেই দেশের দ্বিতীয় কুখ্যাত বন্দি শিবির হিসেবে পরিচিত ছিল বক্সা ফোর্ট।
 

  • 6/7

১৯৩০ সালে তৎকালীন বামপন্থী নেতা কৃষ্ণপদ চক্রবর্তী এবং ১৯৪৩ সালে অমরপ্রসাদ চক্রবর্তীকেও এখানে কয়েকবার বন্দি করে রাখে ব্রিটিশ সরকার। পরবর্তী সময় স্বাধীনতার পর তৎকালীন ভারত সরকার কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের এখানে বন্দি করে রাখতো। তারপর একসময় এখানে বন্দিদের রাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

  • 7/7

ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের কনসালট্যান্ট আর্কিওলজিস্ট তমাল গোস্বামী বলেন, আর দু-এক মাসের মধ্যেই ফোর্টের কাজ প্রায় শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তারপর তা তুলে দেওয়া হবে জেলা প্রশাসনের হাতে। তারপরেই পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া বলে জানা যাচ্ছে। 

Advertisement

লেটেস্ট ফটো

Advertisement