ফের হাতির হানা। এবার বাঁকুড়ায়। আর এর জেরে প্রবল ভাবে ক্ষতি হল বেশ কয়েকটি দোকান, ঘরবাড়ির। মানুষ সমস্য়ায় পড়েছেন। প্রশাসনের কাছে তাঁরা আর্জি জানিয়ছেন, এই ঘটনা বন্ধ করতে উদ্য়োগ নিতে হবে।
বাঁকুড়ায় হাতির তাণ্ডব প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এবার এক হাতি ক্ষতি করল চারটি দোকান।
রবিবার রাত তিনটে নাগাদ আচমকাই ঢুকে পরল গ্রামে একটি বুনো হাতি। বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার অন্তর্গত পাঁচাল গ্রামে একটি দোকানে আচমকাই হানা দেয়।
দোকানে প্রায় ১৫ হাজার টাকার জিনিসের ক্ষতি করেছে। দোকানে থাকা তিন বস্তা গম খায় এবং দু'বস্তা গম নষ্ট করে দেয়। দু'বস্তা আলু খেয়ে ফেলে এবং দু'টো গুড়ের টিন নষ্ট করে দেয় বলে জানা যায়। ওই পাঁচাল গ্রামে দোকানদার পম্পা দাস এ কথা জানিয়েছেন।
এবং তার ঢিলছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত লোখেশোল গ্রাম। সেই গ্রামে রীতিমতো হানা দেয় ওই বুনো হাতি। গ্রামের দুটি দোকানে শাটার ভেঙে ক্ষতি করে দোকানের জিনিসপত্রের। একটি দোকানের দু বস্তা চাল এবং দু বস্তা গম খেয়ে ফেলে হাতিতে, এবং তার পাশের একটি দোকানে শাটার ভেঙে চাল গম মাটিতে ফেলে নষ্ট করে দেয় ওই বুনো হাতি টি। উত্তম মাল নামে এক দোকানদারের দাবি, তার দোকানে ১৫ হাজার টাকার বেশি ক্ষতি করেছে ওই বুনো হাতি।
এর আগে ৩০ জুলাই রাত্তে ওই জেলার পাঁচালের খাঁগ নামে এক গ্রামে ঢোকার আগেই ছিল একটি চায়ের দোকান রীতিমতো সেই দোকানটি কেউ ভেঙে দেয় ওই বুনো হাতিটি। এখন আতঙ্কে রয়েছে পাঁচাল এবং লোখেসোল গ্রামের মানুষ।
এখন ওই ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। এখন তো এই করোনা পরিস্থিতি ভাল চলছে না ব্যবসা। তার ওপর এই হাতির হামলা। এখন প্রশাসনের কাছে তারা কিছু সাহায্যের দাবি জানাচ্ছে। না হলে তাঁদের সমস্যা আরও বাড়বে। সেই সঙ্গে, হাতির হানা বন্ধ করতে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।