মণ্ডপসজ্জায় দুর্গাপুরের অগ্রণী সংস্কৃতি পরিষদ, ফুলঝোড় সার্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি এবং নবারুণ ক্লাব কেড়েছে সেরার খেতাব। অভিনবতা আর সূক্ষ্ম কারুকাজে এগিয়ে গেছে এরা।
প্রতি বছর দুর্গাপুজোয় রাজ্যজুড়ে প্রতিযোগিতা চলে সেরা মণ্ডপ, সেরা প্রতিমা আর সেরা আয়োজনে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আয়োজিত ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান’ এখন এক বড় স্বীকৃতি। এ বছরও একাধিক জেলা থেকে উঠে এসেছে নজরকাড়া পুজোর নাম।
মণ্ডপসজ্জায় দুর্গাপুরের অগ্রণী সংস্কৃতি পরিষদ, ফুলঝোড় সার্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি এবং নবারুণ ক্লাব কেড়েছে সেরার খেতাব। অভিনবতা আর সূক্ষ্ম কারুকাজে এগিয়ে গেছে এরা।
সেরা প্রতিমার তালিকায় আছে আসানসোলের রবীন্দ্রনগর উন্নয়ন সমিতি, কল্যাণপুর আদি পুজো এবং রাধানগর রোড এ্যাথলেটিক ক্লাব। শিল্পসমৃদ্ধ প্রতিমার জন্য এই তিনটি পুজো বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছে।
আসানসোলে জেলার সেরা পুজোর সম্মান পেয়েছে আপকার গার্ডেন দুর্গাপুজো কমিটি। সঙ্গে দুর্গাপুরের চতুরঙ্গ পুজো কমিটি এবং শঙ্করপুর সার্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটিও জিতেছে পুরস্কার।
হুগলির সেরা প্রতিমা বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে চন্দননগরের আমাদের বাড়ি পুজো, অরবিন্দ পল্লী দুর্গাপুজো কমিটি, বড়বাজার মেরী পার্ক সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি, সদরের দশঘরা বাজারপাড়া পুজো কমিটি এবং শ্রীরামপুরের গোস্বামী পাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব।
হুগলি জেলার পুজোগুলিও এ বছর জিতেছে একাধিক পুরস্কার। সেরা পুজো বিভাগে জায়গা করে নিয়েছে চন্দননগরের বাগানবাটী সর্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গাপুজো কমিটি, তালদহ নবোদয় সংঘ, শ্রীরামপুরের ৫ ও ৬ এর পল্লী গোষ্ঠী ও ব্যবসায়ী সমিতি, আর সদরের বিবেকানন্দ রোড সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।
শিলিগুড়িতেও একাধিক পুজোকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। খড়িবাড়ি সবুজ ওয়েলফেয়ার সংঘ, রবীন্দ্র সংঘ স্পোটিং ক্লাব এবং সূর্য নগর ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাব জিতেছে বিশেষ সম্মান।
নদিয়ার কল্যাণীর রথতলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব এ বার জেলার সেরা পুজোর শিরোপা পেয়েছে। অভিনব থিম আর অনবদ্য শিল্পকর্মের জন্য এই পুজো সব সময় আলোচনায় থাকে।
রথতলার এবারের থিম আমেরিকার স্বামীনারায়ণ মন্দির। মণ্ডপের নকশায় মন্দিরের স্থাপত্যরূপ তুলে ধরা হয়েছে নিখুঁতভাবে। সূক্ষ্ম কারুকাজ, অনন্য আলোকসজ্জা আর শিল্পসমৃদ্ধ প্রতিমা ইতিমধ্যেই দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।