আজ সকালেই অতি গভীর নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়েছে। এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এর ওপরে রয়েছে।
বিশাখাপত্তনম থেকে ৪২০ কিলোমিটার, গোপালপুর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার ও পারাদ্বীপ থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়।
এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। এরপর আরও শক্তি বাড়াবে ৪ তারিখ সকালে। অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলের কাছে পৌঁছাবে, তার পরে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগোবে।
ওড়িশা উপকূল বরাবর যাবে ৫ তারিখ দুপুরে পুরীর কাছে যাবে। তারপর উত্তর-পূর্ব দিকে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে আসবে। এর ফলে ৪,৫ এবং ৬ তারিখ বৃষ্টি হবে। ৪ তারিখ উপকূলে সব জেলাতেই বৃষ্টিপাত হবে।
ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে দুই মেদিনীপুরে। বাকি দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম ও হাওড়াতে শুধু ভারী বৃষ্টি হবে। ৫ তারিখ বৃষ্টি বাড়বে।
দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, ঝাড়গ্রাম এই জেলাগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে।
এছাড়া পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মালদা, মুর্শিদাবাদে বর্তমানে শুধুমাত্র বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হবে। ৬ তারিখ বাংলাদেশ লাগোয়া নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও দুই ২৪ পরগনা তে বৃষ্টি হবে।
৪ তারিখ ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে প্রতি ঘণ্টায় হাওয়া বইবে। বিকেলে ধীরে ধীরে এই গতিবেগ বাড়বে। ৫ তারিখ নাগাদ ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার হওয়ার গতি থাকবে।
স্থলভাগে হওয়ার গতি দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা ,হাওড়া, হুগলি কলকাতাতে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার । ৫ তারিখ হাওয়ার গতি বেড়ে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। ৬ তারিখ বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলোতে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। ৬ তারিখ কলকাতাসহ হাওড়া, হুগলিতে ৩০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যেতে মানা করা হয়েছে ৩-৫ তারিখ পর্যন্ত।