দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ। ২৭ অক্টোবরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যার প্রভাব পড়তে শুরু করবে সোমবার থেকে। তিন দিন ধরে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়াবিদেরা জানান। আগামী তিন ঘণ্টায় পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড়টির ল্যান্ডফল ওড়িশা উপকূলে হবে কি? তাতে তিনি জানান, এখনই তা বলা যাচ্ছে না। তবে যেখানেই এটি আঘাত হানবে, সেখানেই ২৭ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ওড়িশায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলীয় জেলাগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর প্রভাব পড়বে বাংলায়ও। শুক্রবার ১২টি জেলায়, শনিবার ও রবিবার ২১টি জেলায় এবং সোমবার সমগ্র রাজ্য জুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের কারণে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ২৮ থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং হাওড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ২৮ অক্টোবর কলকাতা এবং সংলগ্ন হুগলি জেলায় বজ্রপাত সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় ২৯ থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
ভুবনেশ্বরের আবহাওয়া বিভাগের পরিচালক মনোরমা মোহান্তি বলেন, "২৫ অক্টোবরের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এবং সংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপে তৈরি হবে। ২৬ অক্টোবরের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ২৭ অক্টোবর সকালের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।"
অক্টোবর মাসে সাধারণত ঘূর্ণিঝড়প্রবণ মাস হিসেবে বলা হয়। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। সরকার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্ প্রস্তুত আছে বলে তিনি জানান।