পঞ্চমী থেকে আরও বাড়তে পারে বৃষ্টি। এমনই পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। ফলে চতুর্থীর মতোই ছাতা হাতেই প্রতিমা দর্শনে বেরতে হবে বঙ্গবাসীকে। এমনিতেই চতুর্থীর বিকেল থেকে কলকাতায় সহ জেলায় জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। দুর্গাপুজোর শুরুতে এমন আবহাওয়া দেখে সবার মনে এখন একটাই প্রশ্ন, বাকি পুজোটাও কি এভাবেই কাটবে? নিচে আবহাওয়া দফতরের ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত স্পেশাল বুলেটিন দেওয়া হল।
এই বিষয়ে খুব একটা স্বস্তির খবর দিতে পারল না আবহাওয়া দফতর। পূর্বাভাস অনুযায়ী পঞ্চমী থেকেই বৃষ্টি আরও বাড়বে। বিশেষত উপকূলবর্তী জেলা, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়ায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
সপ্তমী পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। তারপর নবমী ও দশমীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া দফতরের তথ্যানুযায়ী, মধ্য বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট আকার নিয়েছে। শুক্রবার রাতের মধ্যে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
শনিবার সকালে দক্ষিণ ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে এই সিস্টেম ঢুকে পড়বে। এর জেরে পঞ্চমীর দিন সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা থাকবে। সঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।
পূর্বাভাস বলছে, অষ্টমীতে বঙ্গোপসাগরে আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে নবমীর রাত থেকেই দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টি বাড়তে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পাশাপাশি ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়াও বইতে পারে।
শুধু দক্ষিণবঙ্গই নয়, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বিশেষত জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় পঞ্চমী ও ষষ্ঠীতে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে।
পুজোর সময় অনেকে দার্জিলিং ও কালিম্পং বেড়াতে যান। সেখানেও রবিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে। সোমবার মালদহ এবং দুই দিনাজপুরে বজ্রঝড় সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, একের পর এক নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার কারণে সমুদ্রও আগামী কয়েক দিন অস্থির থাকবে।
ঝড়ো হাওয়ার গতি ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। সেই কারণে মৎস্যজীবীদের রবিবার পর্যন্ত সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।