পঞ্চমীর দিন রাজ্যে সেভাবে বৃষ্টি হয়নি। আকাশের মুখ মাঝে মধ্যে ভার হয়ে থাকলেও বৃষ্টি আছড়ে পড়েনি। তাই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে নেমেছিল মানুষের ঢল। ষষ্ঠীতেও সেই একই ধারা বজায় রয়েছে।
পুজোর বাকি দিনগুলোও এমন কাটুক, তাই এখন মায়ের কাছে প্রার্থনা রাজ্যবাসীর। যদিও আবহাওয়া দফতর এখনও সেই আশ্বাস দিতে পারছে না। বরং ১৩ থেকে ১৫ অক্টোবর কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি হবে, এমনটাই পূর্বাভাস।
হাওয়া অফিস বলছে, মৌসুমী বায়ু আজ সোমাবার ১১ তারিখ পশ্চিমবঙ্গের কিছু জায়গা থেকে বিদায় নিচ্ছে । এদিন মৌসুমী বায়ু শিলিগুড়ি ,মালদা, শ্রীনিকেতন ,মেদিনীপুর পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার কিছু অংশ থেকে বিদায় নিচ্ছে ।
আগামী দু'দিনের মধ্যে রাজ্য থেকে বর্ষা বিদায় নেবে।
তবে বর্ষা বিদায় নিলেও বৃষ্টির ভ্রূকুটি থামছে না। আগামী ১৩ তারিখ নাগাদ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন আন্দামান সাগরের ওপরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে যেটা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ১৫ তারিখ ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে প্রবেশ করবে। যার ফলে রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পুজোয় কেমন থাকবে আবহাওয়া?
দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ দুই জায়গাতেই ষষ্ঠী ও সপ্তমী মোটামুটি শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে ।বৃষ্টির খুব একটা সম্ভাবনা নেই।
১৩ তারিখ অর্থাৎ অষ্টমীর দিন দক্ষিণবঙ্গের ২ মেদিনীপুর এবং দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া ,হুগলি এবং কলকাতার কয়েক জায়গায় খুব হালকা বৃষ্টিপাত হবে, বাকি জায়গার শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে।
১৪ তারিখ অর্থাৎ নবমীর দিন দুই চব্বিশ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া ,হুগলি ,কলকাতায় বৃষ্টির পরিমাণ একটু বাড়বে।
১৫ তারিখ দশমীর দিন দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় বৃষ্টিপাত হবে। উপকূলীয় জেলাগুলিতে বৃষ্টি একটু বেশি হবে।
উত্তরবঙ্গে অবশ্য সপ্তমী-অষ্টমী ও নবমী মোটের উপর শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে । ১৫ তারিখ দশমীর দিন উত্তরবঙ্গের মালদাতে হালকা বৃষ্টি হবে।
নিম্নচাপের হাত ধরে উত্তর-পশ্চিমের বাতাসের প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে ফলে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। ১৬ অক্টোবর থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।