Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ

Ganga River Erosion : মালদা-মুর্শিদাবাদে প্রতি বর্ষায় কেন নদী ভাঙন? প্রশাসনের কী পদক্ষেপ?

প্রীতম ব্যানার্জী / মিল্টন পাল / গোপাল ঠাকুর
  • মালদা/মুর্শিদাবাদ,
  • 25 Aug 2021,
  • Updated 9:24 PM IST
  • 1/8

কথায় বলে 'নদীর পাড়ে বাস, চিন্তা বারো মাস'। প্রতি বর্ষায় প্লাবন পরিস্থিতি যদি বাংলার এক কঠিন বাস্তব হয়, তাহলে আরও একটি সত্য হল নদী ভাঙন। ফি বছর বর্ষায় গঙ্গার জলস্তর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভাঙন শুরু হয়ে যায়। আর সেই ভাঙনের গ্রাসে সবচেয়ে বেশি পড়তে হয় মালদা ও মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলাকে। 

  • 2/8

এই বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতেই ভাঙন (River Erosion) শুরু হয়ে গিয়েছে মালদার (Malda) মানিকচক, ভুতনি, রতুয়া ১ নম্বর ব্লক ও কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকে। একই অবস্থা মুর্শিদাবাদেরও বিস্তীর্ণ এলাকায়। নদী গিলে খাচ্ছে ঘরবাড়ি থেকে চাষের জমি। কার্যত নিরাশ্রয় বহু মানুষ। 
 

  • 3/8

প্রতিবছরের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ বাড়ছে ওই সমস্ত এলাকার মানুষের মধ্যে। আর তার সঙ্গেই প্রশ্ন উঠছে ফি বছর কেন সৃষ্টি হচ্ছে একই পরিস্থিতি? স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) ও বিহারে (Bihar) অতিবৃষ্টির জেরে বন্যা সৃষ্টি হলে সেই জল ঝাড়খন্ড হয়ে গদাইচর দিয়ে মালদায় প্রবেশ করে। 

  • 4/8

সেইসময় নদীর স্রোতও থাকে প্রচণ্ড। সেই জলই মালদার ভুতনি, গদাইচর, মানিকচক, ডোমহাটে ভাঙনের সৃষ্টি করে। এখানে একটা বিষয় উল্লেখ্য, গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পেলে যেমন ভাঙন হয়, তেমনই জলস্তর কমতে শুরু করলেও ভাঙন দেখা দেয়। কারণ প্রথমে যখন প্রচণ্ড গতিতে জল আসে তখন তা মাটির নিচে ঘূর্ণির আকারে প্রবেশ করে। পরে যখন জলস্তর নেমে যায় তখন সেই জায়গায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে আবার ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ যখন জল ছাড়ে, সেই সময় মালদার কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের পারদেওনাপুর, পারলালপুর, অনুপনগর, চিনা বাজার সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। 

  • 5/8

এবার খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, যে সমস্যা প্রতিবছরের, সেই বিষয়ে কী পদক্ষেপ করেছে সরকার তথা প্রশাসন? এই প্রসঙ্গে রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (Sabina Yeasmin) জানিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে বিহার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে, যাতে জেলার বন্যা ও ভাঙন পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। তবে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই বিষয়ে কিছু বলতে চায়নি।
 

  • 6/8

এদিকে প্রায় একই অবস্থা মুর্শিদাবাদেরও। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রবল বর্ষণে নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় পাড়ে প্রচণ্ড চাপের সৃষ্টি হয়। সেই চাপেই শুরু হয় ভাঙন। এছাড়া, বাংলাদেশের (Bangladesh) দিকে চর পড়ে যাওয়ায় নদী তার স্বাভাবিক গতিপথে বাধা পায়। ফলে গতি পরিবর্তন করে বিপরীত দিকে প্রবাহিত হওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময়ই বিপুল জলরাশির চাপে ভাঙতে থাকে নদীর পাড়। তাছাড়া গঙ্গার পাড়ের যে মাটি রয়েছে তার নিচের স্তরে বালি থাকার কারণেও ভাঙনের সৃষ্টি হয় বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। 
 

  • 7/8

এক্ষেত্রে স্থানীয়রা মনে করছেন, বর্ষার পর নদীর চরে ড্রেজিং করলে এবং সঠিকভাবে পাড় বাঁধানো হলে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব। সেক্ষেত্রেও খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী করছে প্রশাসন? 

  • 8/8

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিডিওকে এই বিষয়ে বললে তিনি বলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আর জেলাশাসককে বললে, তিনি বলেন পাড় বাঁধানোর কাজ চলছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে ব্যস্ত। আর এই সবের মাঝে অধরাই থেকে যাচ্ছে প্রতিবছরের এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান।  
 

Advertisement
Advertisement