করোনার কারণে মার খেয়েছে সব কিছু। ব্য়বসা-বাণিজ্য থেকে চাকরি, লেখাপড়া- প্রভাবিত সব ক্ষেত্রেই।
তবে বলা যেতে পারে, এই অবস্থার কিছুটা বদল হয়েছে। কিছু দিন আগে চাহিদা কিছুটা কম হলেও ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের আগে চরম ব্যস্ততার মধ্যে হাওড়া পতাকা শিল্পীরা।
তিন প্রজন্ম ধরে হাওড়া উনসানি দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা রাজু হালদার ও তার পরিবারের সদস্যরা পতাকা তৈরি কারবারের সঙ্গে যুক্ত।
সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের পতাকা তৈরি করে থাকেন তারা। রাজনৈতিক দলের পতাকা তৈরির কাজে তাঁরা বেশি ব্যস্ত থাকেন।
ভোট এলে তো কথাই নেই। তাঁদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়।
তবে সেই সঙ্গে বছরে দু'টি সময় ব্যস্ত হয়ে পড়েন ভারতের জাতীয় পতাকা তৈরির কাজে। এক সঙ্গে নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিনরাত এক করে কাজ করেন তাঁরা। শুধু হাওড়া বা কলকাতায় নয়, পশ্চিমবঙ্গ ও বাইরের বিভিন্ন রাজ্যে তাঁদের তৈরি জাতীয় পতাকা চাহিদা রয়েছে।
তবে করোনো আবহে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি বিধি নিষেধ থাকার কারণে গত বছরের ন্যায় এ বছরও চাহিদা অনেকটাই কম বলে জানাচ্ছেন রাজু হালদার।
সাধারণত ১৫ আগস্ট এবং ২৬ জানুয়ারি- এই দুটি সময় মাথায় রেখে তিন মাস আগের থেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা সকলে।
তবে লকডাউনের কারণে এ বছর কাজ শুরু হয়েছে দেরিতে এছাড়াও কাঁচামালের দাম আগের তুলনায় বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা হলেও বেগ পেতে হয়েছে ব্যবসায়।
সব মিলিয়ে বাজার মন্দা হলেও স্বাধীনতা দিবসের আগে চরম ব্যস্ত হাওড়া উনসানি পতাকা পাড়া।
জাতীয় পতাকা তৈরি করতে করতে তাদের আবেগ এমনটাই যে নিজের ঘরবাড়ির রং জাতীয় পতাকার রঙে সাজিয়ে ফেলেছেন।
গোটা এলাকা দূর থেকে দেখলে বোঝা যায় যে এটি আর পাঁচটি বাড়ির থেকে কিছুটা আলাদা।
এই বাড়িতে জাতীয় পতাকা তৈরি হয় যে রাজ্য ছাড়া ভিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়। সেই অর্ডার যাতে সময় মতো দেওয়া যেতে পারে, তাই আজ ব্যস্ত ওঁরা।