Leopard Escaped: ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানা থেকে খাঁচা ভেঙে পালিয়ে গেল পূর্ণ বয়স্ক একটি চিতাবাঘ। প্রতিবেদক: দেবেন তেওয়ারি
এই ঘটনার পর এলাকা জুড়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সেটির হদিশ পেতে পথে নেমেছে বন দফতর, পুলিশ। মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িযাখানা থেকে অর্থাৎ ডিয়ার পার্ক থেকে সিসি ক্যামেরায় ধুলো দিয়ে বৃহস্পতিবার পালিয়ে গেল একটি পূর্ণ বয়স্ক চিতাবাঘ।
চিতাবাঘের খাঁচা জুড়ে ক্যামেরা লাগানো থাকলেও এখনও পর্যন্ত চিতাবাঘের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এদিকে পুজোর বাজারের জন্য রাস্তায় কমবেশি মানুষের ভিড়। দু'দিকে শালের জঙ্গল। ফলে সমস্যা কম নয়।
তবু সাধারণ মানুষকে এখনও সাবধান করা হয়নি ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের ডিএফও র তরফ থেকে। এমনই অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, এই চিড়িয়াখানা এখনও ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের ডিএফও-র আন্ডারে রয়েছে।
ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানা থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটা দূরে ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের ডিএফও অফিস।
চিতাবাঘটি খাঁচা ভেঙে চিড়িয়াখানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর বন দফতরের পক্ষ থেকে মানুষকে ন্যূন্যতম সাবধান পর্যন্ত করা হয়নি।
চিতাবাঘের খোঁজ তো দূর, কী করে পালিয়ে যাওয়া চিতাবাঘটিকে ধরা হবে তারও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।
যার ফলে চরম আতঙ্কে রয়েছে ডিয়ার পার্ক সংলগ্ন এলাকার দোকানদাররা। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে বন দফতর।
ডিয়ার পার্ক সংলগ্ন দক্ষিণ সোল, বীরভানপুর, কাঞ্চননগর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। পাশেই রয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ লাইন। সেখানেও আাতঙ্ক ছড়িয়েছে।
যার ফলে ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের আধিকারিকদের ওপর ক্ষুব্ধ ওই এলাকার বাসিন্দারা।
উজ্জ্বল দে নামে এক বাসিন্দা জানান, একটা চিতাবাঘ পালিয়ে গিয়েছে শুনলাম। ভয়ে রয়েছে। যদিও দোকান খোলা রয়েছে। মানুষ আতঙ্কিত। বন দফতর যাতে তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেয়, সে ব্য়াপারে তৎপর হতে হবে। খুবই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। সাধু দোলুই নামে আর এক বাসিন্দা জানান, ভয় লাগছে। আতঙ্ক লাগছে। আশপাশ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়লে! রাস্তায় বেরোতে হয়েছে। বন দফতরের কোনও উদ্য়োগ নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি। কোনও লোক নেই। রাস্তা ফাঁকা আছে। রবি মাহাতো নামে এক বাসিন্দা জানান, বন দফতর ঘোষণা করছে। তবে ভয় রয়েছে।