পশ্চিম মেদিনীপুরের মিস্টি জলেও এবার 'ইলিশ' (Hilsa)। জেলায় এই প্রথমবার সরকারি উদ্যোগে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হতে চলেছে মণিপুরী ইলিশ চাষ।
সরকারি 'আত্মা' (ATMA- Agriculture Technology Management Agency) প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় এই উদ্যোগ নিয়েছে নারায়ণগড় ব্লক কৃষি ও মৎস্য দফতর।
প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের পর ১৫ জন কৃষকবন্ধুর হাতে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে, মণিপুরী ইলিশ বা পেংবা (Manipuri Hilsa/ Osteobrama Belangeri) মাছের চারা। প্রত্যেক মৎস্য চাষিকে ১০০০টি করে এই ইলিশ মাছের চারা দেওয়া হয়েছে। (মাছের চারা প্রদানের ছবি)
আরও পড়ুন - পেঁয়াজ-আঙুর একসঙ্গে খেলেই কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি, রইল ৫ স্বাস্থ্যকর ফুড কম্বিনেশন
প্রসঙ্গত, এটি একটি নতুন প্রজাতির মিষ্টি জলের মাছ, যা কম সময়ের মধ্যে বৃদ্ধি পায়। মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ বছরে এগুলির ওজন প্রায় ৮০০-৯০০ গ্রাম হয়। এর স্বাদ ও গন্ধ ইলিশ মাছের মতোই।
মণিপুরের এই স্থানীয় মাছ আগে শুধুমাত্র সেরাজ্য এবং মায়ানমারেই পাওয়া যেত। তবে বর্তমানে, বিভিন্ন রাজ্যেই অন্যান্য দেশীয় পোনা মাছের সঙ্গে এটির 'মিশ্র চাষ' হচ্ছে এবং তা বেশ অর্থকরীও হয়ে উঠছে।
পূর্ব মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলায় আগেই এই মাছের চাষ শুরু হয়েছে। আর এবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও পরীক্ষামূলক ভাবে ১৫ জনের হাতে তুলে দেওয়া হল এই মাছের চারা। (মাছের চারা)
এক্ষেত্রে বেছে নেওয়া হয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর সংলগ্ন নারায়ণগড় এলাকাকেই। কৃষি অধিকর্তা অমিত ঘোষ, ব্লক প্রযুক্তি ব্যবস্থাপক বকুল কুমার সাউ, মৎস্য দফতরের আধিকারিক বিদ্যুৎ মান্ডি, নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাধিপতি গণেশ মাইতি, মৎস্য কর্মধ্যক্ষ মেঘনাদ ভুঁইঞা এবং ব্লক 'আত্মা' প্রকল্পের অন্যান্য আধিকারিকদের উপস্থিতিতে তুলে দেওয়া হয় এই মাছের চারা। (মাছের চারা প্রদানের ছবি)