National Forest Martyrs Day: শনিবার জাতীয় বন শহিদ দিবস। সারা দেশ জুড়ে সমগ্র বন দফতরে অরণ্য ও বন্য প্রাণ রক্ষায় বন শহিদদের শ্রদ্ধার্ঘে পালিত হচ্ছে বন শহিদ দিবস।
১৭৩০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের খেজরালি গ্রামের অরণ্য নিধনের জন্য যোধপুরের রানা অভয় সিংহের পাঠানো রাজকাঠুরের হাতে অরণ্য রক্ষায় এগিয়ে আসা বিষ্ণোই সম্প্রদায়ভুক্ত অমৃতা দেবী, তাঁর তিন কন্যা ভাগু, রতনি, আশু সহ ৩৬৩ জন বিষ্ণোইকে নৃশংস ভাবে নিহত হয়েছিল। তাঁরা জীবনের বিনিময়ে অরণ্য নিধন রক্ষা করতে সমর্থ হয়েছিলেন।
২০০০ সালে হরিয়ানার কমল সিং যাদব, ওডিশার সুরেশ পট্টনায়ক এবং পশ্চিমবঙ্গের অমল সিনহার নেতৃত্বে সারা ভারত বনকর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে বন ও বন্যপ্রাণ রক্ষায় নিহত বনকর্মীদের শ্রদ্ধায় ১১ই সেপ্টেম্বর বন শহিদ দিবস (National Forest Martyrs Day) ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন সংগঠিত হয় দিল্লিতে।
সারা দেশে বনকর্মচারীদের এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।
পরে ২০১২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ১১ সেপ্টেম্বর কে জাতীয় বনশহিদ দিবস ঘোষণা করে।
পরের বছর রাজ্য বন দফতর সার্কুলার ঘোষণা করে রাজ্য ব্যাপী বনশহিদ দিবস ঘোষণা করে।
প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও রাজ্য জুড়ে রাজ্য সরকার ও ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রেঞ্জ ও বিটে পালিত হচ্ছে বন শহিদ দিবস। সারা রাজ্যে এই মুহূর্তে বন শহিদ হয়েছেন ৪০ জন বনকর্মী।
সম্প্রতি জলদাপাড়ায় এক অস্থায়ী বনকর্মচারী বাইসনের আক্রমণে নিহত হয়েছেন। এই শহিদদের উদ্দেশ্যেই পালিত হচ্ছে বন শহিদ দিবস। রাজ্যের মূল কর্মসূচি বনবিতান পার্কের শহিদ মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে অমল সিনহা অভিযোগ করেন যে, দাবি করা সত্ত্বেও আজও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কলকাতায় তৈরি হয়নি স্থায়ী বনশহিদ মঞ্চ। অরণ্য, বন্যপ্রাণ ও পরিবেশ রক্ষায় ব্রতী বনকর্মচারীরা পুলিশের ন্যায় পে স্কেল, রেশন ভাতা, বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
স্থায়ী কর্মচারীর সংখ্যা উল্লেখ যোগ্য হারে কমে গেছে। অস্থায়ী বনকর্মীদের নিয়ে কাজ চলছে যাদের জীবনের নূন্যতম নিরাপত্তা নেই। নেই অর্থনৈতিক নিরাপত্তা। কর্মচারীকে বঞ্চিত রেখে এই অবস্থায় কখনই বনবিভাগের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভবপর নয়।
কলকাতা, খয়েরবাড়ি, কল্যাণী, খড়গপুর, পুরুলিয়া, রায়গঞ্জ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বন শহিদ দিবস পালন করা হয়েছে