আর ক’টা দিন পরেই দুর্গাপুজো। উৎসবে মেতে উঠবে সারা বাংলা ও বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা লক্ষ লক্ষ বাঙালি। এখন পুজো মানেই অধিকাংশ মানুষের কাছে নিরিবিলিতে একটু ছুটি কাটানো, দৈন্দিন ব্যস্ততা থেকে ছুটি নিয়ে কাছে-পিঠে কোথাও ঘুরে আসা।
তবে এখন আর বাঙালি ছুটি কাটাতে শুধু গতে বাঁধা দিঘা, পুরি, দার্জিলিংয়ে ছুটে যায় না। খুঁজে বেড়ায় বাজেটের মধ্যে কোনও ‘অফবিট ডেস্টিনেশন’! আর এই ‘অফবিট ডেস্টিনেশন’ হিসেবেই আম বাঙালির কাছে অত্যন্ত প্রিয় ঠিকানা এখন ঝাড়গ্রাম।
কী নেই এখানে! বেলপাহাড়ীতে ঘাঘরা, ঝাড়গ্রামের রাজবাড়ি, খাঁদারানি, কাঁকড়াঝোড় গাড়রাসিনি, লাল জল গুহা, চিল্কিগড়, শালবনী, হাতিবাড়ি-সহ একাধিক জায়গা, যেখানে পর্যটকরা চোখ, মনের তৃপ্তির খোঁজে ভিড় করেন।
পর্যটকদের থাকার জন্য ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় গেস্ট হাউস, হোম স্টে আর সরকারি ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি রিসোর্ট তো রয়েছেই। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পর্যটকদের জন্য ছোট ছোট রিসর্ট চালু হয়েছে, যেগুলির হাত ধরে গ্রামীণ পর্যটন শিল্পের উন্নতির আশা করছেন স্থানীয় মানুষ।
তবে এবার যাঁদের পুজোয় ঝাড়গ্রামে বেড়াতে বা ছুটি কাটাতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও গেস্ট হাউস বা হোম স্টে বুক করেননি, তাঁরা কিন্তু বিপদে পড়বেন! কারণ, ইতিমধ্যেই ঝাড়গ্রামের প্রায় ৭৫ শতাংশ রিসর্টে পুজোর বুকিং সারা হয়ে গিয়েছে।
পড়ে রয়েছে হাতে-গোনা কয়েকটা। তাই, পছন্দ মতো ঘর বেছে নেওয়ার তেমন কোনও উপায় থাকবে না পর্যটকদের কাছে। তাই এ বারের ঝাড়গ্রামে পর্যটকদের আনাগোনা গিয়ে পুজোয় বুকিং নিয়ে বেশ খুশি জেলা প্রশাসন ও ঝাড়গ্রাম ইকো ট্যুরিজম, ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল।
সূত্রের খবর, এ বছরের পুজোয় বুকিং গত বারের তুলনায় অনেকটাই বেশি হয়েছে। তবে পর্যটকরা এখানে কোভিড বিধি যথাযথ ভাবে মেনে চলছেন কিনা, সে দিকে কড়া নজরদারি থাকবে প্রশাসনের।
ছবিগুলি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঝাড়গ্রাম পর্যটনের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহিত।