বাড়ির ভেতর দিব্যে ডেরা বেঁধেছিল। এক-দু'জন নয়, সেখানে ছিল ১৭টি গোখরো সাপের ছানা। দিন কয়েক আগে গোখরো সাপ দেখতে পান সেই পরিবারের সদস্যরা। আর তারপর থেকে আতঙ্কে ছিলেন তাঁরা।
অবশেষে গৃহস্থ বাড়ির ঘরের ভেতরে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল ১৭টি গোখরো সাপের ছানা। এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সাপ উদ্ধার দেখতে গোটা গ্রাম ভেঙে পড়েছিল সেখানে।
পরিবার-সহ গোটা এলাকা ব্যাপক আতঙ্কে ছিল। গত তিনদিন ধরে বন দফতরকে একাধিকবার ফোন করা হয়েছে। তবে সেখানকার কেউ ফোন ধরেনি। এমনই অভিযোগ উঠেছে।
ধৈর্য্যচ্যুত হয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার লোকজন। গত তিনদিন আগে চারটি গোখরো সাপ লক্ষ্য করে পরিবার। তবুও নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাত কাটিয়েছেন ঘরের মধ্যেই।
শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে শান্তিপুর ব্লকের বাগআচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বেলের মাঠ গ্রামে। এদিন সকালেই আবারও ওই গোখরো সাপগুলিকে ঘরের মধ্যে দেখে ঘরছাড়া হয় গোটা পরিবার। এবার ফোন করেন শান্তিপুর থানায়। এ ছাড়াও স্থানীয় বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী অনুপম সাহাকে ফোন করেন তাঁরা।
কয়েক ঘণ্টা বাদে ওই গ্রামে পৌঁছায় শান্তিপুরের বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী অনুপম সাহা সেখানে পৌঁছন। গ্রামের বেশ কিছু মানুষের সহযোগিতায় ওই গ্রামের গৃহস্থের গোটা ঘরের ভেতরে মাটি খুঁড়ে ফেলা হয়।
এরপর এক এক করে বেরোতে থাকে ১৭টি গোখরো সাপের ছানা। স্বভাবতই এতগুলি গোখরো সাপের ছানাকে দেখে গ্রামে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়।
পাশাপাশি সাপের একটি ডিমের থলিও উদ্ধার হয়। অবশেষে গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় শান্তিপুরের বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী অনুপম সাহার তৎপরতায় উদ্ধার হল ১৭টি গোখরো সাপের ছানা। সেগুলি উদ্ধার করতে বেশ বেগ পেতে হয়। অত্যন্ত সতর্ক হয়ে সে কাজ করতে হয়েছিল।
শান্তিপুর শহরের কোনও এলাকায় একসঙ্গে এতগুলি গোখরো সাপের ছানা উদ্ধার হয়েছে আগে কবে উদ্ধার হয়েছে বলে কেউ মনে করতে পারছেন না। বেশ কয়েক ঘণ্টা পর সেগুলি উদ্ধার করা হয়।