দেশি ভেবে বেশিদামে ব্রয়লার মুরগির (Broiler Chicken) মাংস খাচ্ছেন না তো? তাহলে সাবধান হয়ে যান এখনই, না হলে ঠকবেন। কারণ শিলিগুড়ির বিভিন্ন বাজারে এখন দেশির নাম করে দেদার বিকোচ্ছে সোনালী প্রজাতির ব্রয়লার মুরগী। ফলে যাঁরা আলাদা করে দেশি মুরগি চেনেন না তাঁরা বেশি দামে ব্রয়লার মুরগি কিনে ঠকছেন। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে সচেতন করতে মঙ্গলবার পথে নামলেন শিলিগুড়ির বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা ।
বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে খাদ্য রসিক বাঙালির খাবরের তালিকায় প্রায়শই থাকে মাংস। এরমধ্যে পোল্ট্রি অর্থাৎ ব্রয়লার এবং দেশি মুরগীর মাংস খুবই জনপ্রিয়। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম দেশির থেকে তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম।
বর্তমানে শিলিগুড়ির (Siliguri) বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে মোটামুটি কেজি প্রতি ১২০ টাকায়। সেখানে দেশি মুরগির দাম প্রায় ৪০০ টাকা কেজি।
কিন্তু অভিযোগ, বর্তমানে সোনালী প্রজাতির ব্রয়লার মুরগিকে দেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করছেন একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। মোটামুটি ভাবে কেজি প্রতি ৩৫০-৩৭০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে এই মুরগি। আর সেগুলিকে দেশি ভেবে কিনেও নিচ্ছেন অনেকে। কিন্তু রান্নার পর ভুল ভাঙছে ক্রেতাদের। জানা গিয়েছে, এই ধরণের মুরগির চাষ মূলত বাংলাদেশে হয়। তবে বর্তমানে এরাজ্যেও নাকি এর চাষ হচ্ছে।
শিলিগুড়ির অন্যতম বাজার বিধান মার্কেট। এই বাজারের মুরগিহাটিতে ২২টি দোকানে প্রতিদিন পাইকারি এবং খুচরা দরে মুরগির মাংস বিক্রি হয়। এই বাজার থেকেই প্রতিদিন পাহাড় সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে যায় মাংস। তাই ক্রেতাদের বাজারে এসে যাতে ঠকতে না হয়, তাই মানুষকে সচেতন করতে পথে নামল শিলিগুড়ি বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি। সচেতন করা হল সোনালী মুরগির বৈশিষ্ঠ নিয়ে।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানাচ্ছেন, সোনালী প্রজাতির মুরগি দেশির (Desi Chicken) থেকে কিছুটা লম্বা হবে। এর পা গুলি হলে দেশির থেকে কিছুটা সরু। তাছাড়া এই প্রজাতির মুরগির ঝুটিও একটু অন্যরকম। তবে স্বাদ ব্রয়লার মুরগির মাংসের মতো।
বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বাপি সাহা বলেন, 'শিলিগুড়ির বিভিন্ন বাজারে দেশি মুরগির নাম করে সোনালী প্রজাতির ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে দেশির দামে। যার ফলে মানুষ ঠকছেন। তবে বিধান মার্কেটে এই প্রজাতির মুরগি বিক্রি করা হচ্ছে না। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করতে আজ পথে নামা হয়েছে।'
অন্যদিকে বিধান মার্কেটে আসা এক ব্যক্তি বলেন, 'সোনালী প্রজাতির এই মাংসকে যদি বিক্রেতারা দেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে তা অন্যায়। বিষয়টি নিয়ে বাজার কমিটিগুলিকে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে।'