দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি সোমবার গভীর নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয়েছে। ক্রমশ উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে এটি।
তবে বাংলায় এর প্রভাব পড়ছে না, আগেই জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস।
IMD শেষ দেওয়া বুলেটিনে জানা যাচ্ছে, অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ ছাড়িয়ে মায়ানমার ও দক্ষিণ বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এটি।
২৩ মার্চ দুপুর নাগাদ এটি মায়ানমারের থান্ডে অতিক্রম করে যাবে বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।
প্রথমে বলা হয়েছিল সোমবার রাতেই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়় ‘অশনি’-তে পরিণত হবে। এবার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা ধরে তা আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ বরাবর মায়ানমার উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে থাকবে।
এদিকে এই নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর, মধ্য এবং পোর্টব্লেয়ার-সহ দক্ষিণ আন্দামানে ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে।
আন্দামানের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
তবে এই সিস্টেমের কোনও প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের ওপরে পড়ছে না। ফলে আগামী পাঁচ দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে দক্ষিণবঙ্গে।
তবে এদিন পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে মেঘলা আকাশ থাকতে। তবে বৃষ্টির তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই।
হাওয়া অফিস বলছে, দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন নেই, এখন যেমন স্বাভাবিকের থেকে ৩ -৪ ডিগ্রি বেশি রয়েছে সেরমই থাকবে।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র দার্জিলিং কালিম্পং জেলায় খুব হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, বাকি জেলায় সেরম বৃষ্টি হবে না। আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। তাপমাত্রারও বিশেষ পরিবর্তন হবে না।
আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি বেশি। সোমবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি বেশি।
এদিকে নিম্নচাপ কেটে গেলে বঙ্গোপসাগর থেকে বেশি মাত্রায় জলীয় বাষ্প দক্ষিণবঙ্গের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। তখন দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।