করোনা পরবর্তী পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। ধীরে ধীরে পর্যটনকেন্দ্রগুলি খুলতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সরকারি তরফে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার হিসেবে টিকা দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষরা টিকা ছাড়াও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিতে পারেন না।
পূর্ব হিমালয় অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামগুলির এলাকাভিত্তিক সামগ্রিক স্বাস্থ্য সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা করা হল। বুধবার থেকে উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
সামথারের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে COVID-19 পরিস্থিতি সহ, অঞ্চলটি কালিম্পং জেলার রেড জোনের আওতায় আনা হয়েছে। পরিস্থিতি অনুমান করে এবং সামথার পিএইচসি-র উপর নির্ভরশীল বেশিরভাগ গ্রামগুলির পরিস্থিতি বোঝার জন্য, বেশ কয়েকটি সংগঠন সক্রিয় হয়েছে।
প্রকৃতি ও গ্রামীণ পর্যটন সমৃদ্ধ এই অঞ্চলটিকে এগিয়ে নিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাক্ট ( অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজার্ভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজম) দ্বারা সমন্বিত হয়ে একসাথে যোগদান করেছে। যা এই অঞ্চল যা নাজিওককে সংযুক্ত করে একদিকে রম্ভির সাথে, অন্যদিকে চুইখিম, অপরদিকে লাভার সাথে লোলিগাঁও এবং অবশেষে কালিম্পং এবং কালিঝোরা অন্যান্য প্রান্তিককরণের মধ্য দিয়ে একসময় প্রত্যন্ত ও অবহেলিত অঞ্চলটি এখন আরও ভালভাবে সংযুক্ত হচ্ছে।
ফলে এলাকাগুলির জীবিকা, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের সুযোগগুলিও আরও উন্নত হওয়া দরকার। বিভিন্ন সংগঠনের একদল স্বেচ্ছাসেবক, বেশ কয়েকটি গ্রামের সামাজিক নেতারা, সামথার গ্রামের স্বাস্থ্য স্বেচ্ছাসেবীরা এখানে একত্রিত হয়েছিল।
যেখানে মেডিকেল অফিসার এবং তার পুরো টিম বেশ কয়েকটি কোভিড -১৯ সম্পর্কিত সরঞ্জাম এবং ওষুধ, পেডিয়াট্রিক ওষুধ, স্যানিটারি ন্যাপকিন তুলে দেওয়া হয়।
এই সাম্গ্রীগুলির সাথে আরও অনেকগুলি উপকরণ রাখা হবে যা এখানে ব্যবহৃত হবে এবং এই কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল বেশ কয়েকটি প্রত্যন্ত গ্রামের জন্য ব্যবহৃত হবে।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের একটি মৌলিক দিক নির্দেশ করা হয় এবং এটি নিশ্চিত করা হয়েছিল যে ভবিষ্যতে আরও সহায়ক শিবিরের আয়োজন করা হবে।
এছাড়াও, গ্রামীণ ভ্রমণে সমস্ত পর্যটন স্টেকহোল্ডার এবং তাদের পরিবারকে টিকা দেওয়ার জন্য একটি সচেতনতা প্রচারণা চালানো হয়েছিল, যাতে নিরাপদে ট্যুরিজমকে এগিয়ে যাওয়ার উপায় হতে পারে।
এই উদ্যোগে সহযোগিতার জন্য ডিএম কালিম্পং আর বিমলাকে ধন্যবাদ জানানো হয় উদ্যোক্তা অ্যাক্ট এর তরফে। পাশাপাশি ডাঃ রজত দে, সামথার পিএইচসি এবং তাঁর দলকে ধন্যবাদ জানান তাঁরা।
অ্যাক্ট এর সম্পাদক রাজ বসু জানান, এই সমস্ত এলাকায় এই সব সুযোগ সুবিধা সব সময় পৌঁছে দেওযা যায় না দুগর্মতার কারণে। তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হল।
প্রয়োজনে সব রকম সহায়তা করা হবে। পাশাপাশি পর্যটকদের কাছে আহ্বান জানানো হচ্ছে, তাঁরা যেন নির্দ্বিধায় সেখানে যান। তাঁরা সকলেই স্বাস্থ্য় সুরক্ষা বিধি মেনে তৈরি।