আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৩ ডিসেম্বরই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের সৃষ্টি হবে। এরপর তা ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বুধবার তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি এখন সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিনত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গপোসাগরে আছে ৷
আরও পশ্চিমে ঘনীভূত হয়ে এটি আজ সন্ধ্যায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর তিন তারিখ ঘুর্নিঝড়ে পরিনত হবার সম্ভবনা আছে।
৪ তারিখ সকালে এই ঘূর্ণিঝড় পৌঁছে যাবে উত্তর অন্ধ্র ও দক্ষিণ ওড়িশায়।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৪,৫,৬ তারিখ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।
৪ তারিখ দক্ষিনবঙ্গের পুর্ব মেদনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, দুই চব্বিশ পরগনায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে৷ পাঁচ তারিখ বৃষ্টি আরও একটু বাড়বে।
৪ তারিখ সকাল থেকে উপকূলে ৪৫-৫৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে যা পরবর্তীতে বেড়ে ৬৫ কিলোমিটার হতে পারে। তারপর সেই হাওয়ার গতি বেড়ে ৬০-৭০ কিমি হবে। সন্ধ্যা থেকে ১২ ঘণ্টা এমন পরিস্থিতি চলবে৷
উপকূলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে৷ ৫ তারিখ বৃষ্টি আরোও বাড়বে।
এই অবস্থায় মৎস্যজীবীদের ৩ তারিখ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা মাঝ সমুদ্রে গিয়েছেন তাদের ফিরতে বলা হয়েছে।
বৃষ্টি ও হাওয়ার কারণে এই সময় মাঠে লাগান ধান,আলু ও ফসল নষ্ট হতে পারে। সেই কারণে যত তাড়াতাড়ি মাঠের ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছে হাওয়া অফিস। যাদের জমিতে আলু লাগানোর কথা, সাত দিন পিছিয়ে দিতে বলা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের মালদা ছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া মোটের ওপর শুষ্ক ছাকবে। মালদায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।