শিলিগুড়ি মহকুমার আপার বাগডোগরা ভুট্টাবাড়ি এলাকার চিতাবাঘের আতঙ্ক। মঙ্গলবারই চিতাবাঘটিকে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান। খবর যায় বাগডোগরা বনবিভাগে। কর্মীরাও আসেন তড়িঘড়ি করেই। তবে চিতাবাঘটি ধরা দেয়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বন বিভাগের কর্মীরা এসে জাল পেতে খাঁচা বসিয়ে দেন বাগডোগরার ওই ভুট্টাবাড়ি এলাকায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসেই থাকেন তাঁরা। তবে চিতার দেখা মেলেনি। তারপর কার্যত হতাশ হয়ে খালি হাতেই ফিরে যান কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, চা বাগান ও সংলগ্ন এলাকাতে চিতাবাঘের আতঙ্ক লেগেই থাকে। গত মাস থেকে বাগডোগরা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একটি চিতা। প্রথমে সে বায়ুসেনার ছাউনিতে প্রবেশ করে। সেখানে দুইজনকে জখম করে। এরপর আবার বাগডোগরা বিমানবন্দরের পেরিসেবল কার্গোতে চিতার হানায় জখম হয় এক মহিলা। তারপর থেকে ওই এলাকায় চিতার সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে বনদফতর।
যদিও এখনও খাঁচাবন্দী হয়নি ওই চিতা। এদিন ফের ভুট্টাবাড়িতে চিতাবাঘের আতঙ্কে চাঞ্চল্য ছড়ায়। যা নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়েছে বনদফতরের কর্মীরা। কারণ জনবহুল এলাকায় চিতাটি ঢুকে পড়ায় অনেককেই জখম করতে পারে।
এদিন সকালে স্থানীয় এলাকাবাসীরা ওই এলাকায় চিতাটিকে ঘোরাফেরা করতে দেখে। এরপরই খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরকে। খবর পেয়ে বনদপ্তর এর বাগডোগরা রেঞ্জের বনকর্মীরা এসে এলাকায় এসে জাল পাতার পাশাপাশি খাঁচাও পেতে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত চিতার টিকি পাওয়া যায়নি।
এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণমণি পণ্ডিত বলেন, 'সকালবেলা দেখতে পাই চিতাটি ঘুরে বেড়াচ্ছে। লোকজন চিৎকার করতেই সে পালিয়ে যায়। আমরা আতঙ্কের মধ্যেই আছি। কারণ বাড়িতে বাচ্চারা রয়েছে। যত তাড়াতাড়ি এটা ধরা পড়বে ততই মঙ্গল আমাদের।'
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে কার্শিয়াং বনবিভাগের DFO হরি কৃষ্ণ জানান, বনকর্মীরা কাজ করছে। তাঁরা খাঁচা পেতেছে। আশা করা যায়, দ্রুত চিতাটি ধরা পড়বে।