পদ্মা মেঘনার ইলিশ অবশেষে আসছে ভারতে। দুর্গাপুজোর আগেই যাতে রাজ্যের বাজারে ইলিশ আসতে পারে সে জন্য ভারতে ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে এই সুখবর জানিয়েছেন।
আসন্ন দুর্গাপুজো উপলক্ষে এক হাজার ২০০ টন ইলিশ শর্তসাপেক্ষে ভারতে রফতানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রফতানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে বাংলাদেশি টাকায় এক হাজার ৫২৫ টাকা।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রফতানি- ২ শাখার উপসচিব এস এইচ এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আগ্রহী রফতানিকারকদের কাছ থেকে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর অফিস চলাকালীন (১১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত) ইলিশ রফতানির জন্য আবেদন আহ্বান করা যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, ইআরসি, আয়কর সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট, বিক্রয় চুক্তিপত্র, মৎস্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্ট দলিল দিতে হবে।
গত বছর দুর্গাপুজো উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে শেষ পর্যন্ত ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছিল। এবার এর অর্ধেক ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হলো। গতবার সব মিলিয়ে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে।
অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ রফতানি না করা, অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তর না করা এবং অনুমোদিত রফতানিকারক ছাড়া ঠিকায় (সাব-কন্ট্রাক্ট) রফতানি না করার শর্তও থাকছে। বলা হয়েছে, সরকার যেকোনও সময় রফতানি বন্ধ করতে পারবে। সব সময়ই এসব শর্ত থাকবে।
বাণিজ্য মন্ত্রকের আদেশে আরও বলা হয়েছে, প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রফতানি মূল্য সাড়ে ১২ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে সরকার।