জানা গিয়েছে, রাজ্যে কমবে তাপমাত্রা। আগামী দু'তিন দিনের মধ্যে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে রাজ্যে। তবে, তাপমাত্রা কমলেও এখনই শীতের অনুভূতি নয়। বঙ্গোপসাগরে আবারও নিম্নচাপ তৈরি। সপ্তাহের মাঝে ফের জলীয়বাষ্পের আনাগোনা হবে উপকূলে।
হাওয়া অফিস বলছে, উত্তর আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ মায়ানমার উপকূলে ঘূর্ণাবর্ত নিন্মচাপে পরিণত হয়েছে, যা ৪৮ ঘন্টায় বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন মায়ানমার উপকূলের দিকে এগোবে।
এরফলে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণ বাংলাদেশ উপকূল বরাবর পূর্ব-মধ্য এবং সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্র অঞ্চলে ৩৫-৪৫ কিমি/ঘন্টা থেকে ৫৫ কিমি/ঘন্টা বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। সমুদ্রের পরিস্থিতি উত্তাল থাকতে পারে। সেইকারণে বাংলাদেশ উপকূল বরাবর পূর্ব-মধ্য এবং সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্র অঞ্চলে জেলেদের না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
হাওয়া অফিস বলছে, আগামী ৫ ও ৬ নভেম্বর উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার, সোমবার ও মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা তুলনামূলক কম। তবে বাংলায় আগামী ৫ দিনের জন্য হাওয়া অফিস কোনও সতর্কতা দেয়নি।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলের জেলাগুলিতে, বিশেষত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে।
তুলনামূলভাবে বেশি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা কিছুটা বেড়ে যেতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। শুক্রবারও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।
উত্তরবঙ্গে আজ রবিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। তবে সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া পরিষ্কার ও শুষ্ক থাকবে বলে জানানো হয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেকটাই কমবে।
সব মিলিয়ে, নভেম্বরের শুরুতে বৃষ্টি যেমন থামছে না, তেমনই শীতের আমেজও আসছে না তাড়াতাড়ি। হাওয়া অফিস বলছে, ঠান্ডার দাপট পেতে ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে বাঙালিকে।