ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দক্ষিণ তুরস্ক। সোমবার ভোরবেলায় অনুভূত হয়েছে কম্পন। গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে।
রিখটার স্কেলের কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। এর কিছু ক্ষণ পর আরও একটি কম্পন অনুভূত হয়েছে মধ্য তুরস্কে। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)-এর মতে, দ্বিতীয় কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৭।
লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের বিভিন্ন অংশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
১৯৩৯ সালের পর তুরস্ক এমন ভয়াবহ ভূকম্প দেখেনি। বিপর্যয়ের মুহূর্তের বেশ কিছু ভিডিয়োও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুক, টুইটারে।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, তীব্র কম্পনের ফলে বাড়িঘর ভেঙে পড়ছে। প্রাণ বাঁচানোর আশায় স্থানীয়দের ছোটাছুটি করতেও দেখা যাচ্ছে। দমকলকর্মীরা উদ্ধারকাজ শুরু করেছে।
ভূমিকম্পের ফলে ১৪০টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এই ধ্বংসস্তূপের তলায় বহু মানুষের আটকে থাকার আশঙ্কা। ফলে, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। এখনও পর্যন্ত ৪২০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এ দিন ভোর রাতে কেঁপে ওঠে তুরস্কের দক্ষিণ অংশ৷ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় তুরস্কের গাজিয়ানটেপ, কাহরামানমারাস, আদিয়ামান, মালাটিয়া, দিয়ারবাকিরের মতো একাধিক শহর৷ ভেঙে পড়ে শহরের অধিকাংশ বহুতল৷ ঘুমের মধ্যেই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েন বহু মানুষ৷
একই ভাবে বিপর্যয় নামে প্রতিবেশী দেশ সিরিয়াতেও৷ সেখানেও ভেঙে পড়ে ঘর, বাড়ি, বহুতল৷
তুরস্কের এই ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, 'তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানি এবং সম্পত্তি নষ্টের ঘটনায় ব্যথিত৷ শোকস্তব্ধ পরিবারগুলিকে আমার সমবেদনা জানাই৷ আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন৷ এই কঠিন সময়ে ভারত সবরকম ভাবে তুরস্কের পাশে রয়েছে এবং সবরকম সহযোগিতা করতে তৈরি৷'