পাকিস্তানকে সমগ্র বিশ্বে বসবাসের জন্য সবচেয়ে সস্তা দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ফারুক হাবিব বিশ্ব জনসংখ্যা পর্যালোচনা সূচকের বার্ষিক প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, '২০২১ সালে পাকিস্তানে জীবনযাত্রার খরচ সবচেয়ে কম'।
যে কোন দেশের জীবনযাত্রার খরচ সেখানে আরামদায়কভাবে বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ সম্পর্কে বলে। উদাহরণস্বরূপ, বাড়িভাড়া, রেশন, কর এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক জিনিসগুলির খরচের উপর ভিত্তি করে এই সূচক। আপনি এর ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে সেই দেশ আপনার বসবাসের জন্য অর্থনৈতিক ভাবে সুবিধাজনক কিনা।
কিছু দেশে জীবনযাত্রার খরচ অনেক বেশি, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বড় শহরগুলির আশেপাশের এলাকায়। নিউ ইয়র্ক এবং সান ফ্রান্সিসকোর মতো শহরে বসবাসের খরচও অনেক বেশি। অন্যদিকে, কিছু দেশে বসবাসের খরচ খুবই কম এবং মানুষ তাদের বাজেট অনুযায়ী বসবাসের জন্য এই দেশগুলোতে যেতে পছন্দ করে।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ইনডেক্স অনুসারে, পাকিস্তান ১৮.৫৮ সূচক সহ সবচেয়ে সস্তা দেশ। এর পরে আসে আফগানিস্তান ও ভারতের সংখ্যা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফগানিস্তানের জীবনযাত্রার ব্যয় সূচক ২৪.৫১ এবং ভারতের জীবনযাত্রার ব্যয় ২৫.১৪। ভারতের পরে সিরিয়া চতুর্থ সস্তা দেশ।
উজবেকিস্তানের সূচক- ৩০.২৫, নেপাল- ৩০.৬৯, নাইজেরিয়া- ৩১.৭৫, ভিয়েতনাম- ৩৮.৭২, মালয়েশিয়া- ৩৯.৪৬ এবং ব্রাজিলের জীবনযাত্রার ব্যয় সূচক ৪২.৬৪। রিপোর্টে কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ এবং বারমুডা-কে বসবাসের জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের জীবনযাত্রার খরচ ১৪১.৬৪ এবং বারমুডায় ১৩৮.২২।
আন্তর্জাতিক সংস্থার জীবনযাত্রার এই স্কেলের মধ্যে রয়েছে এসব দেশে বসবাসের ভাড়া, মানুষের কেনার অর্থনৈতিক সক্ষমতা, ভোক্তার মূল্য এবং মুদি সূচক। এই সূচকে পাকিস্তানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল বলে হয়েছে, যার কারণে এটি বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা দেশ হিসেবে গণ্য হয়েছে।
এর বিপরীতে, বিশ্বজুড়ে নিত্যপণ্যের দ্রব্যের দাম দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনো মহামারির কারণে বিশ্বের ধনী অর্থনীতিগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার কারণে দেশগুলোর মাথাপিছু আয় কমেছে। মার্কিন কৃষি বিভাগের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১-২২ সালে বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংগঠনের (FAO) প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে যে মাসিক ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী খাদ্য মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে, শস্যদানা, তেলবীজ, দুগ্ধজাত দ্রব্য, মাংস এবং চিনি থেকে মাসিক দাম বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড -১৯-এর কারণে অনেক দেশে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।