Advertisement

বিশ্ব

USS Ronald Reagan: যুদ্ধ কি আসন্ন? চিনকে খোলা চ্যালেঞ্জ USA-র, তাইওয়ানের জলসীমার পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর!

Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 06 Aug 2022,
  • Updated 2:16 PM IST
  • 1/9

আমেরিকান নৌ সেনা ইউএস এস রোনাল্ড রেগান (USS Ronald Reagan)  পৃথিবীর দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় বিমানবাহক রনতরীর শ্রেণিতে পড়ে। চিনকে কাবু করতে আমেরিকা এই পরমাণু এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার তাইওয়ান এর কাছে মোতায়ন করে দিয়েছে (Nimitz Class)। এই ব্যাটেলশিপে যুদ্ধে সম্বন্ধিত সমস্ত বিশেষত্ব এবং স্পেশালিটি রয়েছে। এটি নিমিজ ক্লাস (Nimitz Class) এর এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার যার নাম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউ এস প্যাসিফিক ফ্লিট কমান্ডাল প্লেট এডমিরাল চেষ্টার্ড ডব্লিউ নিমিজ এর নাম অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে। যদিও রোনাল্ডোরাগানের নাম পূর্ব আমেরিকার রাষ্ট্রপতির নামে রয়েছে।

 

ফটো-এএফপি

  • 2/9

নিমিজ ক্লাসের এই পরমাণু দিয়ে সঞ্চালিত হওয়া ১০ এয়ার ক্র্যাফট ক্যারিয়ার যার মধ্যে রোনাল্ড রেগ্যান সবচেয়ে নতুন কেরিয়ার্সের মধ্যে একটি। এটি ১২ জুলাই ২০০৩ আমেরিকার নৌসেনাকে সঁপে দেওয়া হয়। তখন থেকে এটি লাগাতার সক্রিয় রূপে আমেরিকাকে সপ্তম স্লিট (US Seventh Fleet) এর প্রমুখ ও জঙ্গি জাহাজ হিসেবে চিহ্নিত। এর ডিসপ্লেসমেন্ট ১.০১ লাখ টন এর বেশি এবং লম্বা ১০০০৯২ ফিট। এই এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার দুটি পরমাণু reactor শক্তি প্রদান করতে পারে।

 

ফটো-রয়টার্স

  • 3/9

ইউএসএস রোনাল্ড রেগনের (USS Ronald Reagan)  চারটি স্টিম টারবাইন রয়েছে। এটি ৫৬ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে জলে চলতে পারে। এর রেঞ্জ অনির্দিষ্ট এটি লাগাতার ২০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত চলতে পারে। এই এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারে ৯০ টি ফিক্সড উইংস বিমান এবং হেলিকপ্টার মোতায়েন থাকতে পারে।

 

ফটো-এএফপি

  • 4/9

ইউ এস রোনাল্ড রেগনের তিন ধরনের ঘাতক হাতিয়ার মোতায়েন রয়েছে। প্রথম হলো ইভল্ভ স্প্যারো মিসাইল (Evolved Sea Sparrow Missile), রোলিং এয়ার ফ্রেম মিসাইল (Rolling Airframe Missile) এবং তৃতীয় হল ক্লোজিং ভ্যাম্প সিস্টেম (CIWS). এই তিন হাতিয়ার হামলা করে শত্রুকে টার্গেট করে শেষ করে দিতে পারে। সঙ্গে শত্রুপক্ষের বিমান, ড্রোন, রকেট এবং মিসাইল থেকে জাহাজকে বাঁচাতে পারে।

 

ফটো-গেটি ইমেজেস

  • 5/9

এরপর ২৪৮০ জন সৈনিক মোতায়েন থাকতে পারে। রোনাল্ড রেগানের অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক ওয়ের ফায়ার সিস্টেম লাগানো রয়েছে। যাতে AN/SLQ-32A(V)4 কাউন্ট মেজার স্যুইট বলে। এছাড়া এর মধ্যে এস এল কিউ ২৫ SLQ-25A Nixie মেজর সিস্টেম লাগানো রয়েছে যা শত্রুর টরপেডো আসার আগে থেকেই তার গতি-প্রকৃতি দিশা সমস্ত কিছু বলে দিতে পারে। যাতে তা থেকে বাঁচা সম্ভব হয়।

 

ফটো-রয়টার্স

  • 6/9

৪ অগাস্ট ২০২২ এ আমেরিকান ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের প্রবক্তা জন কিরবো জানিয়েছেন যে ইউএস রোনাল্ড রেগনকে (USS Ronald Reagan) তাইওয়ানের আশপাশে থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ চিন লাগাতার নিজের মিসাইল যুদ্ধ অভ্যাস করছে। এই এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার এর ওপর আমেরিকার ভালো ভালো ফাইটার জেট মজুত রয়েছে। এর মধ্যে এফ থার্টি ফাইভ ভি লাইটনিং-টু জয়েনড স্ট্রাইক ফাইটার জেট সামিল রয়েছে।

 

ফটো-এপি

  • 7/9

এছাড়া ইউ এস রোনাল্ড রেগন এর ওপর F/A-18E/F Super hornet fighter, গোয়েন্দা বিমান, এস এইচ ৬০এফ হেলিকপ্টার এবং সি-টু এ গ্রেহাউন্ড নজরদারি বিমান রাখা রয়েছে। তাইওয়ান এর কাছে নজরদারি সময় বিমানের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত জানায়নি আমেরিকা।

 

ফটো-গেটি

  • 8/9

ইউ এস রোনাল্ড রেগন এর ওপর f35 lightning 2 ফাইটার জেট মোতায়েন রয়েছে। এটি একজন পাইলটই ওড়ায়। লম্বায় ৫১.৪  ফুট, উইং স্প্যান ৩৫ ফিট এবং উচ্চতা ১৪.৪ ফিট। সবচেয়ে বেশি গতি ১৯৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। রেঞ্জ ১২৩৯ কিলোমিটার। অধিকতম পঞ্চাশ হাজার ফিট  উচ্চতা পর্যন্ত উঠতে পারে। এর মধ্যে ২৫ মিলিমিটারের চার ব্যারলওয়ালা ক্য়ানন লাগানো রয়েছে। যা ১ মিনিটে ১৮০ টি গুলি ছুড়তে পারে। এর মধ্যে চারটি অভ্যন্তরীণ এবং ছটি বাইরের হার্ড পয়েন্টস আছে। এয়ার টু এয়ার, এয়ার টু ল্যান্ড, এয়ার টু শিপ এবং অ্যান্টি শিপ মিসাইল লাগানো যায়।

 

ফটো-উইকিপেডিয়া

  • 9/9

দ্বিতীয় ভয়ঙ্কর ফাইটার জেট হলো এফ ১৮ সুপার হরনেট  (F-18 Super Hornet) যার গতি ম্যাক ১.৮। অর্থাৎ ২২২.৪ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা সুপার hornet এর রেঞ্জ ৩৩০০ কিলোমিটার। এফ ১৮ সুপারনেট ৫০ হাজার ফিট উপরে উঠতে পারে। সুপারনেট যেখানে ২২৮ মিটার প্রতি সেকেন্ড গতিতে উপরে যেতে পারে। নেট ২০ মিলিমিটার ক্যারিয়ারের এম-৬১ এ ওয়ান ভলকানো canon লাগাতে পারে।

 

ফটো-উইকিপেডিয়া

Advertisement
Advertisement