NOTIFICATIONS
16th May
পরীমণি 
বিপদ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশের বিতর্কিত নায়িকা পরীমণির। চলতি বছরেই স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন পরী। শরিফুল ও তাঁর সম্পর্ক নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এখন আপাতত ছেলে রাজ্যকে নিয়ে সুখেই দিন যাপন করছেন পরী। তারই মাঝে ফের দুঃসংবাদ বিতর্কিত নায়িকার জীবনে। ছেলে রাজ্য ও দাদুকে নিয়ে সংসার তাঁর।
ছোটবেলায় মা-বাবাকে হারিয়েছেন পরী। তারপর থেকে দাদুর কাছেই মানুষ হয়েছেন তিনি। দাদু শামসুল হক গাজি তাঁর জীবনের অনেকটা অংশ জুড়েই ছিলেন। এককথায় দাদুকেই নিজের মা-বাবা বলে মানতেন তিনি। এ বার সেই দাদুকেই হারিয়ে ফেললেন পরী। নায়িকা তাঁর দাদুকে নানুভাই বলে ডাকতেন। জানা গিয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন পরীর দাদু। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পরীমণির দাদু শামসুল হক গাজি।
বৃহস্পতিবার রাত ২ টো নাগাদ হাসপাতালেই মারা যান পরীর দাদু। আপাতত দাদুর মরদেহ নিয়ে জন্মস্থান পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় গিয়েছেন অভিনেত্রী। সেখানেই কবর দেওয়া হয় নায়িকার দাদুকে। পরী শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দাদুর কবরের সামনে বসে দীর্ঘ একটি পোস্ট করেন। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, এই কবরস্থানেই তাঁর মা ও নানিকেও কবর দেওয়া হয়েছিল। আর এখন তাঁর দাদুও এখানে চিরনিদ্রায় রয়েছেন। পরী ক্যাপশনে লেখেন, 'এই কবর স্থানে এখন তিনটা কবর। প্রথমটা আমার মায়ের। তারপর নানি আর এই যে আমার জানের মানুষটার কবর। নানু মরে যাওয়ার আগে নিজেকে আমার এতিম লাগে নাই কোনো দিন। এই জীবনে আমার নানার মতন কেউ আমাকে ভালোবাসে নাই আর। যারা আমাকে খুব কাছ থেকে চেনেন তারা সবাই জানেন এই মানুষটা আমার জন্যে কি ছিলো। আজ হয়তো এই পরিবারের সবার থেকে ভেঙে পড়ার কথা ছিলো আমার। কিন্তু আমার নানা আমাকে সবার বট গাছ করে দিয়ে গেছে। এর থেকে বড় কোনো শোক আমার আর আসবে না। যদি আসে সব শোক সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দিবেন এটা আমার নানুর দোয়া। কতো ভাগ্যে আমি আমার নানুর সাথে তার শেষ কলেমা পড়তে পেরেছি! আহা নানুভাই কতো শান্তনায় রেখে গেলো আমাকে।
জীবন সুন্দর। মৃত্যু যে বড় সুন্দর……।'
কদিন আগেই পরী তাঁর দাদুর অসুস্থতার খবর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে জানিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি আভাস দিয়েছিলেন যে যদি তাঁর দাদু মারা যান তবে তিনি কী নিয়ে থাকবেন। সুখ-দুঃখ সবেতেই পরীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর নানুভাই। পরীর ছেলে রাজ্যকেও খুব ভালোবাসতেন। কিন্তু এখন সেই নানুভাই আর নেই। পরীর জীবন থেকে এক এক করে বিদায় নিচ্ছেন তাঁর প্রিয়জনেরা। এখন ছেলেকে নিয়েই জীবন কাটবে পরীর।
