জিয়া খান মৃত্যু মামলায় নয়া মোড় (Jiah Khan death case)। স্পেশাল সিবিআই কোর্টে (Special CBI court) স্থানান্তরিত হল এই মামলা। গত আট বছর ধরে সেশন কোর্টের বিচারাধীন ছিল বলি অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যু মামলা। এ বার তার বিচারের ভার বিশেষ সিবিআই আদালতের কাছে গেল।
মেয়ের জন্য সুবিচার পাওয়ার আশায় এতদিন লড়াই করছেন জিয়ার মা রাবিয়া (Rabia Khan)। আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। সাংবাদিকদের রাবিয়া বলেন, “জিয়ার কোনও দোষ ছিল না। আদালত সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নয় বছর পরে মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে থেকে সমস্ত প্রমাণ পুনরুদ্ধার করবে সিবিআই। আমরা আশা করছি সত্যিটা এ বার সামনে আসবে। কারণ জিয়া কখনও আত্মহত্যা করতে পারে না।”
৩ জুন, ২০১৩-এ জুহুর ফ্ল্যাটে নিজের বেডরুম থেকে জিয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যার ঘটনা বলে সন্দেহ করে পুলিশ। কিন্তু রাবিয়া অভিযোগ করেন, জিয়ার প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলি (Sooraj Pancholi) তাঁর মেয়েকে খুন করেছেন। তিনি সূরজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। শুরু হয় জিয়ার মৃত্যুর তদন্ত।
এ দিন আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সূরজের মা অভিনেত্রী জরিনা ওয়াহাব (Zarina Wahab)। তিনি বরাবরই দাবি করেছিলেন, সুরজ নির্দোষ। যে পরিস্থিতি তাঁর ছেলেকে সামলাতে হচ্ছে, তা কাম্য নয়। এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে জারিনা বলেন, “আট, নয় বছর অনেকটা সময়। আমার ছেলে এত বছর ধরে যা সহ্য করছে, তা ঠিক নয়। আমাদের গোটা পরিবারের ঈশ্বর এবং দেশের আইনের উপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমার ছেলে দোষ করলে নিশ্চয়ই শাস্তি পাবে। কিন্তু নির্দোষ হলে আদালত থেকে ক্লিনচিট দিতে হবে। নিজের জীবনে এগিয়ে যাওয়ার অধিকার ওর আছে। আমার ছেলের জন্য যেমন খারাপ লাগে, তেমনই যে মা তাঁর সন্তানকে হারিয়েছেন, তাঁর জন্যও খারাপ লাগে।”
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে সুরজের আইনজীবী প্রশান্ত পাটিল বলেছেন, “সেশন কোর্ট এই মামলাটি সিবিআই আদালতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। আমার মক্কেলের জন্য এটি ভাল খবর। মামলাটি যাতে দ্রুত এগোয় এবং ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়, তার জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। আমাদের আবেদন মঞ্জুরও হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও মামলা ধীর গতিতে চলেছে।” এ বার খুব শীঘ্রই মামলার শুনানি হবে বলে আশা করছেন সুরজের আইনজীবী।
মাত্র ২৫ বছর বয়সে মারা যান ব্রিটিশ আমেরিকান অভিনেত্রী জিয়া। ২০০৭-এ রাম গোপাল ভার্মার ‘নিঃশব্দ’ ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে ডেবিউ করেছিলেন তিনি। ‘গজনি’, ‘চান্স পে ডান্স’, ‘হাউসফুল’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। আপাতত দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি চাইছেন সব পক্ষই।