পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট (Pornographic Content) তৈরির অভিযোগে বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির (Shilpa Shetty) স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে (Raj Kundra) গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ (Mumbai Police Crime Branch)। পুলিশের অভিযোগ, পর্ন ছবি তৈরি করে তা বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ছবিয়ে দিতেন ইন্টারনেটে। যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণও রয়েছে পুলিশের হাতে, এমনটাই দাবি করেছে মুম্বই পুলিশের সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ। মুম্বইয়ের মালবানি থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯২, ২৯৩, ৪২০, ৩৪, আইটি অ্যাক্টের ৬৭ এবং ৬৭ A, তার সঙ্গে Indecent Representation of Women (Prohibition) Act-এর ২G, ৩, ৪, ৬, এবং ৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
যত সময় কাটছে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে অভিনেত্রীর বয়ান, সব কিছু খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির (Shilpa Shetty) স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে (Raj Kundra) পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এখনও পর্যন্ত পর্ন ছবি (Pornographic Content) তৈরি করার অভিযোগে রাজ কুন্দ্রা-সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। তদন্তে উঠে আসছে, পর্ন ছবির সত্যি ঢাকার জন্য দেদার টাকা খরচ করতেন রাজ কুন্দ্রা। যাতে কোনও ভাবে তাঁর মুখ সামনে না আসে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, রাজ কুন্দ্রা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য ছিলেন যেখানে পর্ন ফিল্ম সংক্রান্ত ব্যবসা নিয়ে তথ্য আদানপ্রদান করা হত। এই হোয়াটস্যাপ গ্রুপের নাম H. গ্রুপে রাজ কুন্দ্রা ছাড়াও আরও ৪ জন সামিল রয়েছেন। এই গ্রুপের একটি চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে রাজ-কে ব্যাবসার সেল্স, মার্কেটিং, মডেলদের পেমেন্ট ইত্যাদি নিয়ে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। কী ভাবে রেভেনিউ বাড়ানো যায়, মডেলদের টাকা কী ভাবে মেটানো হবে ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হত গ্রুপে।
মামলায় রাজ কুন্দ্রা-সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Mumbai Police Crime Branch)। এরা হলেন, ইয়াসমিন খান, প্রতিভা নলাবড়ে, মোনু জোশি, ভানু সূর্যম ঠাকুর, মহম্মদ সইফি, বন্দনা তিওয়ারি, উমেশ কামত, দীপঙ্কর খাসনবিশ, তনবীর হাশমি এবং রায়ান জন থোরপে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে একের পর এক গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সমস্ত নামের তালিকা সামনে এসেছে। কী ভাবে টাকার লেনদেন হত, কী ভাবে রাজ কুন্দ্রার সংস্থা এর সঙ্গে জড়িত ছিল সব প্রকাশ্যে আসতে থাকে। পাকা তথ্য প্রমাণ হাতে আসার পর পুলিশ রাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্রাইম ব্রাঞ্চে তলব করে সোমবার রাত ৯টায়। সেখানে ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ১১টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তে আরও উঠে আসছে, মুম্বইয়ে সিনেমায় অভিনয় করতে আসা অসহায় মেয়েদের টার্গেট করা হত। তাঁদের সিনেমায় সুযোগ দেওয়ার নামে পর্ন ছবিতে কাজ করানো হত। প্রতি সপ্তাহে নতুন পর্ন ছবি আপলোড করা হত বিভিন্ন OTT প্ল্যাটফর্মে। এ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগারও হত। মুম্বইয়ের মালাড ওয়েস্টে একটা বাংলো শুটিংয়ের জন্য ভাড়া করা হয়েছিল। পুলিশ যখন সেখানে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল, সে সময় ওখানে পর্ন ছবির শুটিং চলছিল। এই ছবিগুলি রিলিজ করার জন্য Hotshot নামে একটি অ্যাপও বানানো হয়েছিল।