যত সময় কাটছে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে অভিনেত্রীর বয়ান, সব কিছু খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির (Shilpa Shetty) স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে (Raj Kundra) পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এখনও পর্যন্ত পর্ন ছবি (Pornographic Content) তৈরি করার অভিযোগে রাজ কুন্দ্রা-সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ।
গ্রেফতার ১১
মামলায় রাজ কুন্দ্রা-সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Mumbai Police Crime Branch)। এরা হলেন, ইয়াসমিন খান, প্রতিভা নলাবড়ে, মোনু জোশি, ভানু সূর্যম ঠাকুর, মহম্মদ সইফি, বন্দনা তিওয়ারি, উমেশ কামত, দীপঙ্কর খাসনবিশ, তনবীর হাশমি এবং রায়ান জন থোরপে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে একের পর এক গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সমস্ত নামের তালিকা সামনে এসেছে। কী ভাবে টাকার লেনদেন হত, কী ভাবে রাজ কুন্দ্রার সংস্থা এর সঙ্গে জড়িত ছিল সব প্রকাশ্যে আসতে থাকে। পাকা তথ্য প্রমাণ হাতে আসার পর পুলিশ রাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্রাইম ব্রাঞ্চে তলব করে সোমবার রাত ৯টায়। সেখানে ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ১১টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তে জানা গিয়েছে, রাজ কুন্দ্রা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য ছিলেন যেখানে পর্ন ফিল্ম সংক্রান্ত ব্যবসা নিয়ে তথ্য আদানপ্রদান করা হত। এই হোয়াটস্যাপ গ্রুপের নাম H. গ্রুপে রাজ কুন্দ্রা ছাড়াও আরও ৪ জন সামিল রয়েছেন। এই গ্রুপের একটি চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে রাজ-কে ব্যাবসার সেল্স, মার্কেটিং, মডেলদের পেমেন্ট ইত্যাদি নিয়ে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। কী ভাবে রেভেনিউ বাড়ানো যায়, মডেলদের টাকা কী ভাবে মেটানো হবে ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হত গ্রুপে।
পুলিশের দাবি, রাজের বিরুদ্ধে তাদের কাছে অনেক তথ্য প্রমাণ রয়েছে। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ রাজ কুন্দ্রাকে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের দফতরে আনা হয়। সেখানে তাঁকে প্রায় ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ১১টা নাগাদ গ্রেফতার করা হয়। ভোর ৪টে নাগাদ মেডিক্যাল টেস্টের জন্য তাঁকে জে জে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। পরীক্ষার পর তাঁকে মুম্বই পুলিশ কমিশনারের দফতরে আনা হয়। ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে প্রশাসনের সাইবার ক্রাইম শাখায় পর্ন তৈরি এবং কিছু অ্যাপের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়া নিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার ভিত্তিতেই রাজ কুন্দ্রাকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রশাসন আরও জানিয়েছে, ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী রাজ।
তদন্তে আরও উঠে আসছে, মুম্বইয়ে সিনেমায় অভিনয় করতে আসা অসহায় মেয়েদের টার্গেট করা হত। তাঁদের সিনেমায় সুযোগ দেওয়ার নামে পর্ন ছবিতে কাজ করানো হত। প্রতি সপ্তাহে নতুন পর্ন ছবি আপলোড করা হত বিভিন্ন OTT প্ল্যাটফর্মে। এ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগারও হত। মুম্বইয়ের মালাড ওয়েস্টে একটা বাংলো শুটিংয়ের জন্য ভাড়া করা হয়েছিল। পুলিশ যখন সেখানে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল, সে সময় ওখানে পর্ন ছবির শুটিং চলছিল। এই ছবিগুলি রিলিজ করার জন্য Hotshot নামে একটি অ্যাপও বানানো হয়েছিল।