scorecardresearch
 

Rahul Vohra: 'সোনু সুদের কাছে খবর গেলে হয়তো বাঁচত রাহুল'

কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, সোনু সুদের কাছে যদি রাহুলের বার্তা সময়মতো পৌঁছাত, তবে হয়তো বেঁচে যেতেন তিনি। এমনটাই মনে করছেন অভিনেত্রী কিশ্বার মার্চেন্ট। রবিবার তিনি একটি পোস্টে কমেন্ট করে এমনটাই লেখেন।

Advertisement
কিশ্বার মার্চেন্ট, রাহুল বোহরা, সোনু সুদ কিশ্বার মার্চেন্ট, রাহুল বোহরা, সোনু সুদ
হাইলাইটস
  • মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগেই, নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি অসহায় পোস্ট শেয়ার করেছিলেন এই অভিনেতা।
  • নিজের সর্বশেষ পোস্টে রাহুল লিখেছিলেন, "আমিও ভাল চিকিৎসা পেলে বেঁচে যেতাম।"

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মণীশ সিসোদিয়া-কে ট্যাগ করে পোস্ট করেছিলেন ইউটিউবার রাহুল বোহরা। মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগেই, নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি অসহায় পোস্ট শেয়ার করেছিলেন এই অভিনেতা। যেখানে তিনি তাঁর অসুস্থতা কথার জানানোর পাশাপাশি, তিনি বাঁচার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। রবিবার দুপুরে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। রাহুলের বন্ধুরা তাঁকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করলেও, তাঁর ফুসফুস সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাওয়ায় আর শেষ রক্ষা হয়নি।

তাঁর অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি কেউই। তবে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, সোনু সুদের কাছে যদি রাহুলের বার্তা সময়মতো পৌঁছাত, তবে হয়তো বেঁচে যেতেন তিনি। এমনটাই মনে করছেন অভিনেত্রী কিশ্বার মার্চেন্ট। রবিবার তিনি একটি পোস্টে কমেন্ট করে এমনটাই লেখেন। তিনি লেখেন, 'যদি সোনু সুদের কাছে তাঁর মেসেজ পৌঁছাত... হয়তো পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারত। তাঁর পরিবারের জন্য প্রার্থনা এবং কঠিন সময়ে সাহসের প্রার্থনা করছি।'

নিজের সর্বশেষ পোস্টে রাহুল লিখেছিলেন, "আমিও ভাল চিকিৎসা পেলে বেঁচে যেতাম।" তিনি আরও লেখেন, "খুব শীঘ্রই জন্ম নেবো ও ভাল কাজ করবো। এবার হেরে গেছি।" তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে শিল্পী জগতে। রাহুল বোহরা উত্তরখণ্ডের বাসিন্দা। স্ত্রী জ্যোতি তিওয়ারিকে রেখে গেলেন অভিনেতা। রাহুলের সঙ্গে বিভিন্ন ভিডিয়োতে অভিনয় করতেন ও চিত্রনাট্য লিখতেন জ্যোতি। ফেসবুকে তাঁর ১.৯ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে এবং তাঁর ভিডিয়োগুলিতে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ভিউ হতো। নেটফ্লিক্সের ছবি 'আনফ্রিডম'-এ অভিনয় করেছেন রাহুল। দিল্লিতে থিয়েটার দিয়েই তাঁর কেরিয়ার শুরু হয়েছিল।

করোনার কঠিন সময়ে এক প্রকার সকলের ত্রাতা হয়ে উঠেছেন অভিনেতা সোনু সুদ। সম্প্রতি আজ তককে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন কী ভাবে তাঁর টিম করোনা আক্রান্তদের সাহায্য করার জন্য দিন রাত পরিশ্রম করছেন। তিনি নিজেও দিনে ২২ ঘণ্টা ফোনে কথা বলছেন সাহায্যপ্রার্থী, চিকিৎসকদের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'সরকারও যে সাহায্য করছে না তা নয়, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। প্রত্যেক মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। এখন সবার সকলকে প্রয়োজন। আমি কী ভাবে এটা করতে পারছি জানি না। প্রতি দিন প্রায় ২২ ঘণ্টা ফোন কলে থাকি। আমার এবং আমার টিমের কাছে প্রতি দিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার ফোন কল আসে। আমার ১০ জনের একটা টিম রয়েছে যারা শুধু Remdesivir খোঁজে। আমার অন্যান্য টিম রয়েছে যাঁরা বেডের জন্য, অক্সিজেনের জন্য শহর চষে ফেলেন। সারা দেশের বহু চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে হয়। তাঁদের যা প্রয়োজন তা দ্রুত পৌঁছে দিতে হয়। যাঁরা আমাদের কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছেন, তাঁরা নিজে থেকেই আমাদের টিমের অংশ হিসাবে থেকে যান। আমি সারা দিনে যত সাহায্যের মেসেজ পাই, তা সব দেখতে গেলে ১১ বছর সময় লেগে যাবে। তবে আমাদের যুদ্ধ জারি রয়েছে। যতটা বেশি সংখ্যাক মানুষের প্রাণ বাঁচাতে হবে।'

Advertisement

 

Advertisement