প্রায় এক বছর ধরে বাংলার দর্শকদের মনে বিশেষ জায়গা তৈরি করে নিয়েছিল বাংলা ধারাবাহিক (Bengali Mega Serial) দেশের মাটি (Desher Mati)। কিন্তু মেগা ধারাবাহিকের রীতির বিরুদ্ধে হেঁটে এক বছরের মধ্যেই ধারাবাহিকটি শেষ করছেন নির্মাতারা। যে কোনও মেগা ধারাবাহিকের রীতি বছরের পর বছর ধরে চলা। আগে সাপ্তাহিক সম্প্রচার হওয়ার ধারাবাহিক যখন ধীরে ধীরে ডেইলি সোপের চেহারা নিল, তার পর থেকে বছরের পর বছর ধরে সে সমস্ত সম্প্রচার হত। একদা জন্মভূমি ধারাবাহিকের গান শুনে একটা গোটা প্রজন্ম কচিকাঁচা থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে উঠেছিল।
স্যাটেলাইট উত্তর যুগে হিন্দি ধারাবাহিকের দাপটের পাশে বাংলা ধারাবাহিক ধীরে ধীরে নিজেদের জায়গা তৈরি করেছে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে চলার রীতি আজও বহমান। দেশের মাটি সেই রীতির বিরুদ্ধেই যেন এক ঝলক টাটকা বাতাস। দর্শকদের আকুতি, শিল্পীদের মন খারাপের মাঝে অন্তত একটা বার্তা যে, ঠিক সময় শেষ করা হলে দর্শকদের মন আরও খানিকটা তৃষ্ণার্ত হয়। তাঁদের মনেও রেশ থেকে যায়। 'শেষ হয়ে হইল না শেষ...'
অতীতে এমন বহু ধারাবাহিক সম্প্রচার হয়েছে যা বন্ধের দাবিকে সোশাল মিডিয়া বহুবার উত্তাল হয়েছে। দেশের মাটির ক্ষেত্রে কিন্তু বিষয়টা উল্টো। শেষ পর্বের শুটিংয়ে পরিবারের সকলেই ভারাক্রান্ত। ধারাবাহিকের মূল দুই চরিত্র রাজা এবং মাম্পি অর্থাৎ রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুকমা রায় একটি সোশাল মিডিয়া লাইভে এসে তাঁদের মনের অবস্থা ব্যক্ত করেন। জানান শুটিংয়ে বাকিদের কী অবস্থা হয়েছিল।
ধারাবাহিকটি নিয়ে কম চর্চা হয়নি। কখনও শ্রুতির গায়ের রঙ নিয়ে তির্যক মন্তব্য আবার কখনও বা ধারাবাহিকের অপর দুই কেন্দ্রীয় চরিত্র রাহুল ও রুকমাকে কম প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগ– বারেবারেই উঠে এসেছে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে। তবে এ সবই নেটিজেনদের চর্চা। শো’র অন্দর ছিল গোটা পরিবারের মতোই।
আগামী ৩১ অক্টোবর শেষ সম্প্রচার হবে এই ধারাবাহিকের। এর পরেই স্লট দখল করবে নতুন ধারাবাহিক, ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’। গত বছর ধারাবাহিকের প্রথম দৃশ্যে দেখানো হয়েছিল দুর্গাপুজো উপলক্ষে এক হচ্ছেন দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা স্বরূপনগরের ওই বাড়ির সদস্যরা। যতদূ্র জানা যাচ্ছে, হ্যাপি এন্ডিং দিয়েই শেষ হবে ধারাবাহিকের প্লট। প্লটে হ্যাপি এন্ডিং হলেও মন খারাপ ওঁদের।