scorecardresearch
 

Swastika Mukherjee: সারা জীবন পদার্থবিদ্যা -গণিতে ফেল করা ছাত্রী আমি: স্বস্তিকা

Swastika Mukherjee: তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব কৌতূহল থাকে দর্শকদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় নস্ট্যালজিক পোস্ট শেয়ার করলেন নায়িকা। অনুগামীদের জানালেন ছোটবেলার কথা।

Advertisement
অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (ছবি: ফেসবুক) অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (ছবি: ফেসবুক)

দুই দশকের বেশি সময় ধরে নিজের অসামান্য অভিনয় দক্ষতা এবং অন্য ধারার স্টাইল স্টেটমেন্টের জন্যে লাইমলাইটে রয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। একাধিক চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের মাধ্যমে বারবার দর্শকদের মন ছুঁয়েছেন অভিনেত্রী । ছোট পর্দা, বড়পর্দা থেকে শুরু করে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম- টলিউডের পাশাপাশি বলিউডেও দাপিয়ে কাজ করছেন স্বস্তিকা। মনের কথা অকপটেই বলে ফেলেন এই নায়িকা। সেই জন্যে প্রায়শই থাকেন জল্পনার শীর্ষে। এমনকি ইন্ডাস্ট্রিতে 'ঠোঁট কাটা' নামেও পরিচিত সে। 

তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব কৌতূহল থাকে দর্শকদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় নস্ট্যালজিক পোস্ট শেয়ার করলেন নায়িকা। অনুগামীদের জানালেন ছোটবেলার কথা। ইংরাজী মিডিয়ামের ছাত্রে হলেও, বাংলা ভাষায় ভালই দক্ষতা স্বস্তিকার। পরীক্ষায় বাংলায় খুব ভাল ফল হয়েছিল। যদিও পদার্থবিদ্যা, গণিতে খারাপ ফল হত। নায়িকার পোস্টে উঠে এসেছে রবি ঠাকুরের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার কথা। 

পোস্টে  স্বস্তিকা লিখেছেন, "আমি বেশ উঁচু ক্লাস অবধি মায়ের মাস্টার মশাইয়ের কাছে বাংলা আর ইংরেজী পড়তাম। এই মাস্টারমশাই আমার মা এবং মায়ের বাকি সব দাদা, ভাই, বোনদেরও মাস্টারমশাই। সব মিলিয়ে একই বাড়িতে প্রায় ৮ জন। আমার সব চেয়ে ছোট মাসি ছাড়া সবাই বাংলা মিডিয়াম। আমার মায়ের বাংলা অনার্স। বাবার ইচ্ছে ছিল আমিও বাংলা মিডিয়ামেই পড়ি। মা সেটা করতে দেয়নি, কিন্তু তাই বলে বাংলা জানব না এটা হতে দেওয়া যায় না। তাই দক্ষতা বাড়াতে মায়ের সেই মাস্টারমশাইয়ের দারস্থ হলাম। ওঁর অনেক বয়েস, গড়িয়াতে থাকতেন। তাই আমি যেতাম, প্রায় প্রত্যেক দিন। আগে একা পড়তাম, ক্লাস বাড়তে আরও অনেকের সঙ্গে। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ডে বাংলা পেপারে প্রবন্ধ আসতো দুটো। ২০ নম্বর করে। মোট ৪০ নম্বর। তাতে অন্তত ৩৫ পেতে হবেই। মাস্টারমশাই বললেন একটাই মক্ষম উপায়, কবিতা বা গান দিয়ে শুরু এবং কবিতা বা গান দিয়ে শেষ।" 

আরও পড়ুন

Advertisement

তিনি আরও লেখেন, "আমার বাড়িতে সারা জীবন গান বাজনার চল, গরমের ছুটিতে গীতবিতান থেকে ৩-৪ গান শিখতেই হবে। তাই স্টক ছিল প্রচুর। পরে ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড পাল্টে আইসিএসই বোর্ডে গেলাম। মাস্টারমশাই তখন স্বর্গে গিয়েছেন। ক্লাস নাইন থেকে টেনে ওঠার ফাইনালে বাংলা প্রবন্ধ লেখার দুটো চয়েস ছিল। 'একটি গ্রীষ্মের মধ্যাহ্ন' -এইটা আমি বেছে নিয়েছিলাম। অন্যটা কি ছিল এখন আর মনে নেই। আমার পাশের বান্ধবী ফিশফিশ করে বলল, একটা দুপুর নিয়ে ২০ নম্বর কী লিখবি? রিস্ক নিস না। হয়তো তখন থেকেই আমার ঝুঁকি নেওয়ার অভ্যেস। আমি শুরু করেছিলাম , 'প্রখর তপন তাপে' - এই গানটার চারটে লাইন লিখে। আর শেষ করেছিলাম - 'দারুণ অগ্নিবাণে রে...।' ২০ তে ১৮ পেয়েছিলাম। আর ক্লাস টেনের বোর্ডে বাংলায় পেয়েছিলাম ৮৯।" 

স্বস্তিকা লেখেন, "আমদের বাংলা মিসকে আমরা দিদি মজুমদার বোলে ডাকতাম। ওঁর তালিকায় আমি হয়ে গিয়েছিলাম প্রিয় ছাত্রী। সারা জীবন পদার্থবিদ্যা, গণিতে ফেল করা ছাত্রী আমি। রবি ঠাকুর বারংবার বাকি গুলোতে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। আমি মনে করি, শুধু বাংলা নয়, পুরোদোস্তুর সমবৃদ্ধি হয়ছে আমার। আমার মতো আরও অনেকের। বড়ো হয় উনি হয়ছেন আমার সুখ-দুখের সাথি। ওঁকে আঁকরে কত শত অনভূতির আভাস পেয়েছি, ভাল অভিনেত্রী হতে পেরেছি, মাটিতে পা রেখে চলতে শিখেছি। ভাগ্যিস মা রবি ঠাকুরকে এমন ভাবে আঁকরে ধরতে শিখিয়েছিল।"  

 

 

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের যে কোনও পোস্টেই ট্রোলিংয়ে ভরে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। তবে এই পোস্টে ইতিবাচক কমেন্টই বেশি। অনেকেই নিজেদের নস্ট্যালজিয়ায় ভেসেছেন। কেউ আবার স্বাস্তিকার প্রতি তাঁদের ভালোবাসা উচার করে দিয়েছেন। এমনকী বিয়ের প্রস্তাবও এসেছে কমেন্ট বক্সে। নেটমাধ্যমে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতক স্বস্তিকা।

 

Advertisement