তৃতীয় ওয়েভ অগাস্টেই
তৃতীয় ওয়েভ আসছে অগাস্টেই। এই ওয়েভে ভারতে প্রতিদিন এক লক্ষ করোনা আক্রান্ত থাকবে ঘরে বলে আইসিএমআর-এর এক বিজ্ঞানীর ভবিষ্যৎবাণী যাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
দৈনিক গড়ে ১ লক্ষ করোনা রোগীর আশঙ্কা
ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রফেসর সমীরণ দাস জানান, করোনায় তৃতীয় ধাক্কা খুব কাছেই। করোনার তৃতীয় ধাক্কায় প্রতিদিন গড়ে ১ লক্ষ করোনার রোগাক্রান্তের রেকর্ড ধরা পড়বে বলে তিনি আশঙ্কা করেছেন।
আইসিএমআর-এর ভবিষ্যদ্বাণী
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের সিনিয়র সাইন্টিস্ট সমীরবাবুর এই ভবিষ্যদ্বাণীতে পরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সব মহলে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভাইরাস ট্রান্সমিটেড হয়ে চেহারা বদলে ফেলেছে। এখন যা পরিস্থিতি, তা প্রাথমিক ভাবে করোনা ধাক্কা যখন আছড়ে পড়েছিল, সেই সময় মত দাঁড়িয়েছে। জানিয়েছেন, প্রফেসর সমীরণ পান্ডা। তিনি একসঙ্গে আরও যোগ করেন, ভাইরাস যদি এর পরে পরবর্তীতে ফের সংক্রমিত হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। প্রোফেসর পান্ডা ডিভিশন অফ এপিডেমিওলজি এবং কমিউনিকেবল ডিজিজ এর বিভাগীয় প্রধান।
কি বলছেন বিভাগীয় প্রধান
অধ্যাপক এর মতে, এই বিশ্লেষণের গুরুত্ব এবং ভিত্তি আইসিএমআর এর তরফ থেকে ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি সমীক্ষা করা হয় এবং গাণিতিক হিসাব তৈরি করা হয়। যাতে দেখা যায় রোগ ছড়ানোর রেট এবং বিধি নিষেধ শিথিলতার কারণে করোনা ভাইরাসকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
আশার কথা
তবে পাশাপাশি তিনি আশার কথা শুনিয়েছেন। দ্বিতীয়বারের মতো এতো মারণ নাও হতে পারে করোনা। সম্ভবত কিছু পরিমাণ টিকাকরণ এবং শক্তিহীন হতে থাকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এবং সংক্রমণ এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও মৃত্যুর হার তত বেশি হবে না।
যাতায়াত, ঘোরাঘুরি, জনসমাবেশ থেকে দূরে থাকতে পরামর্শ
এই পরিস্থিতি থেকে নিজেদের দূরে থাকতে হলে যতটা সম্ভব জনসমাবেশ এড়িয়ে থাকতে হবে। পাশাপাশি নিজের যে সমস্ত সুরক্ষা বজায় রাখা সম্ভব, তা ধরে রাখতে হবে। আপাতত পর্যটন বা যে কোনও কারণে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত যথাসম্ভব কম করার চেষ্টা করতে হবে।
গবেষণাপত্র পেশ
শুক্রবার একটি গবেষণা পত্র পেশ করে আইসিএমআর। তাতে দেখা যাচ্ছে যে দ্বিতীয় ওয়েভে ৮৬ শতাংশ বেশি করণা ছড়িয়েছে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এর জন্য। তবে করোনার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও খুব কম মানুষ দ্বিতীয় ওয়েভে শেষের দিকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।