Mumbai Murder Case: মুম্বাইয়ের সান্তাক্রুজ এলাকায় একটি গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো ঘটনা সামনে এসেছে। মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ, কবিতা নামে এক মহিলা এবং তার প্রেমিক হিতেশকেগ্রেফতার করেছে। তারা দুজন কবিতার স্বামী কমলকান্ত শাহকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। আসলে কবিতা তার স্বামীকে খাবারে লাগাতার আর্সেনিক এবং হিলিয়াম মিলিয়ে খাওয়াচ্ছিল। মন্থর গতির এই বিষ ধীরে ধীরে কাজ করায় কমলাকান্ত ৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন। এবং ১৭ দিন পর তাঁর মৃত্যু হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ লাল স্যুটকেসে কার লাশ? দিল্লিতে মেয়েকে খুন করে মথুরায় দেহ ফেলে বাবা
ডাক্তারদের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে তাঁরাই বিষয়টি জানান
চিকিৎসকরা নিজেরাই পুলিশকে অভিযোগ জানান। মুম্বাইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইউনিট-৯-১ মহিলা এবং তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে। মহিলার উপর অভিযোগ রয়েছে, তিনি তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে মিলে নিজের স্বামী ৪৫ বছরের কমলাকান্ত শাহের মৃত্যু পরিকল্পনা করেন। আপাতত দুজন অভিযুক্ত ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
শরীরে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি আর্সেনিক এবং হিলিয়াম জমা হয়েছিল
আসলে ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ এ বোম্বে হসপিটালে কমলাকান্তের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয় এবং ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমলাকান্ত সেখানে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু কমলাকান্তর কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তাতে চিকিৎসকরা তা বুঝতে পারেননি। চিকিৎসকের সময় ডাক্তাররা কমলাকান্তের রক্তের হেভি মেটাল টেস্ট করান এবং সেই টেস্টের রিপোর্টে চিকিৎসকদের সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। কারণ রিপোর্টে আর্সেনিক এবং হিলিয়াম ধাতুর স্তর শরীরে পাওয়া গিয়েছে। যে কোনও ব্যক্তির শরীরে এভাবে ধাতুর বৃদ্ধি হওয়া ও অস্বাভাবিক ঘটনা। এ কারণে চিকিৎসকরা আজাদ ময়দান পুলিশ স্টেশনের তথ্য জানান
খাবারের সঙ্গে বিষ দিত স্ত্রী
তদন্ত শুরু করতে শেষমেষ ক্রাইম ব্রাঞ্চ ইউনিট-নাইনকে দায়িত্ব সঁপে দেওয়া হয়। ক্রাইম ব্রাঞ্চ যাচাই শুরু করে এবং সমস্ত মেডিকেল রিপোর্ট, স্ত্রী সহ সমেত পরিবারের সবার বয়ান নেন। সঙ্গে কমলাকান্তের ডায়েটের সঙ্গে জড়িত সমস্ত তথ্য তাঁরা জোগাড় করেন এবং কবিতার বয়ফ্রেন্ড হিতেশের সঙ্গে প্ল্যানিং করে তার স্বামীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলে জানতে পারেন।
আর্সেনিক এবং লিথিয়াম মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল
শরীরের ভেতরে ধাতু আগে থেকেই থাকে কিন্তু ধাতুর পরিমাণ বাড়তে থাকলে তা বিষের মতো কাজ করে এবং সেটাই কমলাকান্তের সঙ্গে হয়েছে। লাগাতার খাওয়া-দাওয়াতে বিষ মিশে থাকার ফলে কমলাকান্তে শরীর খারাপ হতে শুরু করে।