South 24 Parganas, Bhangar: ত্রিকোণ প্রেমের জেরে গৃহবধুকে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। নিহতের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগণা (South 24 Parganas)-র ভাঙড় (Bhangar)-এর ঘটনা।
আরও পড়ুন: শীতে সুস্থ থাকতে হলে প্রবীণদের মানতেই হবে এই ৫ বিষয়
শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ
ত্রিকোণ প্রেমের জেরে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর (Kashipur) থানার পোলেরহাট (Polerhat)-এ। মৃত গৃহবধূর নাম মরিয়ম বিবি (৩৫)। প্রায় ১৫ বছর আগে শাকশহর গ্রামে বিয়ে করেছিলেন পোলেরহাটের বাসিন্দা আরশেদ আলি মোল্লা।
আরও পড়ুন: এবং ঈপ্সিতার কলমে রাজর্ষির 'লেডি ম্যাকবেথ' মিথিলা! কীভাবে সম্ভব হল?
পরকীয়ার অভিযোগ
দুই কন্যা সন্তান এবং এক পুত্র সন্তান নিয়ে দিব্যি সংসার চলছিল। কিন্তু আরশেদ আলি মোল্লা অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনা মরিয়ম বিবি জানতে পারে। এই নিয়ে প্রায় অশান্তি হতো নিজেদের মধ্যে।
ডাকাডাকিতে সাড়া নেই
এদিন সকালে মরিয়ম বিবি উঠছে না দেখে তাঁর ছেলেমেয়েরা ডাকতে যায়। কিন্তু কোনও সাড়া না মেলায় প্রতিবেশীদের ডেকে আনে। অন্যদিকে, ঘটনার পর থেকেই পলাতক আরশেদ আলি মোল্লা। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আরশেদ আলির প্রেমিকাকে স্থানীয় বাসিন্দারা ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এলাকায় তুমুল উত্তেজনা
ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে আসে কাশীপুর (Kashipur) থানার পুলিশ। মরিয়ম বিবির দেহ উদ্ধার করে তারা জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করে।
পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠিয়ে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। মৃত গৃহবধূর ছেলে দাবি করেন, তাঁর বাবার সঙ্গে অন্য এক মহিলার সম্পর্ক আছে। সেই নিয়ে মায়ের সঙ্গে প্রায় অশান্তি হত। বাবা ওই মহিলাকে নিয়ে সংসার করবে বলেই মাকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে দিয়েছে।
পুলিশ ইতিমধ্যেই মৃতদেহ উদ্ধার করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে পলাতক আরশেদ আলি মোল্লার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে কাশিপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: টাক পড়ছে? ছেলেদের মাথায় গজাবে নতুন চুল, উপায় খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা
পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল ভাঙড়ে। মৃত মরিয়ম বিবির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে যখন জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় মরিয়ম বিবির পরিবারের সদস্যরা এসে পুলিশের গাড়ি আটকে দেহ তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করে।
আরও পড়ুন: উগসর্গ থাকলেই COVID পরীক্ষা করাতে হবে, রাজ্যের কাছে দাবি দিলীপের
আহত পুলিশকর্মী
কিন্তু পুলিশ মরদেহ দিতে না চাইলেই অশান্তির সূত্রপাত। প্রথমে পুলিশের সঙ্গে বচসা এবং পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। এই ঘটনায় মরিয়ম বিবির পরিবারের এক সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনায় কাশীপুর থানার এক পুলিশ কর্মীও গুরুতর জখম হয়েছেন বলে খবর।
আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কাশীপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।