LIC IPO: এলআইস-র আইপিও (LIC IPO) ক্লিয়ার। তা ইস্যু হবে মে মাসের ৪ তারিখে। বন্ধ হবে মে মাসের ৯ তারিখে। LIC IPO-তে ইস্যু সাইজ ২১ হাজার কোটি টাকা।
সরকার LIC-এর প্রাথমিক পাবলিক অফারের (আইপিও) আকার ১.৫ শতাংশ পয়েন্ট বা প্রায় ৯.৪ কোটি শেয়ার কমিয়েছে। এলআইসি বোর্ড শনিবার ইস্যুর আকার ৩.৫ শতাংশে ক্লিয়ার করেছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি SEBI-তে দায়ের করা ড্রাফ্ট রেড হেরিং প্রসপেক্টাসে (DRHP), সরকার ৩১.৬২ কোটি শেয়ারের প্রস্তাব করেছিল। যা মোট ইকুইটি শেয়ারের প্রায় ৫ শতাংশ।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত LIC-এর এমবেডেড মূল্য (একটি বিমা কোম্পানিতে একত্রিত শেয়ারহোল্ডারদের মূল্যের পরিমাপ) প্রায় ৫.৪-লক্ষ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাণু মণ্ডলের বাড়িতে সিধু, গান রেকর্ডের আগে জমজমাট আড্ডা
আরও পড়ুন: ১৫ হাজার টাকার মধ্যে সেরা গেমিং ফোন কোনগুলো? দেখে নিন
আরও পড়ুন: পিপিএফ থেকেই জলদি কোটিপতি হতে এই টিপস কাজে লাগান, হবে বড়সড় ফায়দা
দেশের কোটি কোটি মানুষ ভরসা করেন এআইসি-র ওপর। এটি দেশের সবথেকে বড় বিমা সংস্থা। তারা আইপিও আনার তোড়জোড় শুরু করেছিল। জোর কদমে চলেছে সে কাজ।
কত সম্পদ?
এলআইসি-র সম্পত্তির পরিমাণ কত? দেখা যাচ্ছে, তার পরিমাণ ৪৬৩ বিলিয়ন ডলার মানে ভারতীয় মুদ্রায় ৩৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এটা পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা-সহ আরও কয়েকটি দেশের জিডিপি-র থেকে বেশি।
আরও পড়ুন: 'এ জন্মে চাকরি, প্রেম পরের জন্ম...' IAS-এর টুইট VIral
আরও পড়ুন: ডিপ্লোমা পাশে এয়ারপোর্ট অথরিটিতে চাকরির সুযোগ, বেতন ১ লক্ষ টাকার বেশি
দুনিয়ার অন্যতম বড় বিমা সংস্থা
পরিসংখ্যান বলছে, এলআইসি দুনিয়ার এক অন্যতম বড় বিমা সংস্থা। তাতেই বোঝা যায় তাদের গুরুত্ব কতটা। গ্রস ব্রিটেন প্রিমিয়াম (জিডব্লুপি)-র একটি হিসাব বলছে, এটি দুনিয়ার টপ পাঁচটি সংস্থার মধ্যে অন্যতম। সম্পত্তির হিসেবে এটি দুনিয়ার ১৪তম সবথেকে বড় সংস্থা।
এলআইসি ভারতের সবথেকে বড় অ্যাসেট ম্যানেজার কোম্পানি। তাদের সম্পত্তির পরিমাণ ৪৬৩ বিলিয়ন ডলার। ভারতের জিডিপি-র ১৮ শতাংশর সমান এই সংস্থার সম্পদের পরিমাণ।
পাকিস্তানকে মাত
এই দেশের জিডিপি-র পরিমাণ এলআইসি-র থেকে কম
পাকিস্তানের জিডিপি-র কথা যদি বলা হয়, তা হলে তাদের জিডিপি-র পরিমাণ গত অর্থবর্ষে ২৮০ বিলিয়ন ডলারের। যা এলআইসি-র সম্পত্তির থেকে অনেকটা কম। এলআইসি-র সম্পত্তির পরিমাণ বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার মতো পড়শি দেশের থেকে বেশি।
গত অর্থবর্ষে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ৩৫০ বিলিয়ন ডলার। আর শ্রীলঙ্কার জিডিপি-র পরিমাণ ৮২ বিলিয়ন ডলার। ফলে তারা এলআইসি-র থেকে অনেকটা পিছিয়ে।