Ballygunge Bypoll Results Saira Shah Halim: একুশের বিধানসভা ভোটে বামেদের ফল খুবই খারাপ হয়েছিল। পর্যদুস্ত হয়েছিল সিপিআইএম, বামফ্রন্ট। তারা একটি আসনেও জিততে পারেনি। এরপর বেশ কয়েকটা উপনির্বাচন হয়েছে। সেখানেও এক জিনিস।
এই আবহের মধ্যে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ছিল। এটা রাজ্য়ের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র। তৃণমূলের শক্তপোক্ত জায়গা। একুশের ভোটে সুব্রতবাবু ৭৫ হাজারের বেশি ভোট জিতেছিলেন। তাঁর প্রয়াণে উপনির্বাচন। বালিগঞ্জে বামফ্রন্ট সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। দলের প্রার্থীর জয় যে প্রায় অসম্ভব, তা জানতেন অতি বড় সিপিআইএম সমর্থকও। তবে তারা চলে এসেছে দ্বিতীয় জায়গায়। এটা নিঃসন্দেহে বড় স্বস্তি দেবে বামেদের।
কোন পথে হাওয়া ঘুরল?
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, এই ফলাফলের পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম এনআরসি-সিএএ বিরোধী আন্দোলন। সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের সমর্থন। এখানে তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। মাস কয়েক আগে তিনি ছিলেন বিজেপিতে। সে সময় তিনি ওই আন্দোলনের বিরোধী ছিলেন।
সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা ছিলেন এনআরসি-সিএএ বিরোধী আন্দোলনের প্রথম সারিতে। এই কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোটারের সংখ্যা বেশ ভাল। নির্বাচনী প্রচারে সে কথা ঘুরে ফিরে উঠে এসেছে। সেইসঙ্গে সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন সমর্থন করেছে সিপিআইএম প্রার্থীকে। তারা প্রচারে বাবুলের আগের অবস্থান তুলে ধরেছে। পাশাপাশি একুশের বিধানসভা ভোটে 'নো ভো টু বিজেপি'র কায়দায় 'নো ভোট টু বাবুল' প্রচার চলেছে।
আরও পড়ুন: হোম লোন থেকে ট্যাক্সে সর্বোচ্চ কত টাকা ছাড় পেতে পারেন? জেনে নিন
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে কলকাতায় আরএসএসের দু'দিনের হাই ভোল্টেজ মিটিং
আরও পড়ুন: বেশি কিশমিশ খাচ্ছেন? লাভের বদলে হতে পারে অনেক ক্ষতি
কর্পোরেট ঠাটবাট ছেড়ে কয়েক বছর ধরে সামাজিক কাজে যুক্ত। রাস্তায় নেমে কেন্দ্র-রাজ্যের বিভিন্ন ইসুতে প্রতিবাদেও করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম এনআরসি, সিএএ-বিরোধী আন্দোলন। রাজনীতির জগৎ বেশ পরিচিত তাঁর কাছে।
এবার সরাসরি লড়াইয়ের ময়দানে নেমছিলেন বালিগঞ্জে বামফ্রন্ট সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। স্বামী বিশিষ্ট চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম। শ্বশুর প্রয়াত হাসিম আবদুল হালিম। ধারেভারে তিনি বাবুলের থেকে কোনও অংশে কম নন।
বালিগঞ্জ বিধনসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থীর সমর্থনে আসরে নেমেছিলেন দুই বিশিষ্ট অভিনেতা। তাঁরা হলেন নাসিরুদ্দিন শাহ এবং রত্না পাঠক শাহ। নাসিরুদ্দিন সম্পর্কে সায়রার কাকা। ভাইঝির সমর্থনে তাঁরা ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। তাঁর স্বামী ফুয়াদ হালিম এই কেন্দ্রে লড়েছিলেন, দু'বার। ২০১১ এবং ২০২১ সালে। কোনও বারই দিততে পারেননি। এবার সেই কেন্দ্র তাঁর স্ত্রী লড়েছেন।
আরও পড়ুন: 'বিরোধীরা ভোট চাইতে এলে জুতোপেটা করুন,' TMC নেতার নিদানে বিতর্ক
দল তাঁর কাজের জন্য ভোটে লড়ার সুযোগ দিয়েছে। পরিবারের পরিচয় নয়। এমনই মনে করেন তিনি। সায়রা জানিয়েছিলেন, বাবা সেনায় লেফটেন্যান্ট জেনরেল ছিলেন। তাঁর ছোট ভাই নাসিরুদ্দিন সম্পর্কে তাঁর কাকা। এটা তো ইনসিডেন্টাল। তিনি তাঁর কাজের জন্য পরিচিত। দল দায়িত্ব দিয়েছে কাজ দেখে। দেখা যাচ্ছে, দল ভুল মানুষকে দায়িত্ব দেয়নি!