scorecardresearch
 

West Bengal Election 2021: শুভেন্দু এখন BJP-তে, নবাবী জেলায় কী অবস্থায় TMC?

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁর হাত ধরে অনেকেই ঘাসফুল ছেড়ে যোগ দেন পদ্ম শিবিরে। তারমধ্যে রয়েছেন মুর্শিদাবাদের নেতা কর্মীরাও। এমনকী এখনও মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের কেউ কেউ শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে কানাঘুষো শোনা যায়। তাহলে এহেন শুভেন্দুর অনুপস্থিতিতে মুর্শিদাবাদে ঠিক কোন অবস্থায় রয়েছে তৃণমূল?

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের অবজারভার ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী
  • তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন শুভেন্দু
  • মুর্শিদাবাদে কোথায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল?

২০১৬ থেকে ২০১৯, এই তিন বছর সময়ের মধ্যে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূলের চেহারাটাই বদলে দিয়েছিলেন তিনি। অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) তথা কংগ্রেসের মজবুত ঘাঁটি এই মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের (TMC) পায়ের তলার মাটিটাকে করে দিয়েছিলেন অনেকটাই শক্ত। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের ২২টির মধ্যে যেখানে মাত্র ৪টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল, সেখানে ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে জেলার ৩টি আসনের মধ্যে ২টি দখল করে নেয় ঘাসফুল শিবির। এমনকী লোকসভা নির্বাচনে বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলের নিরিখেও জেলার ১৮টি আসনে এগিয়ে যায় রাজ্যের শাসক দল। পিছিয়ে ছিল শুধু মুর্শিদাবাদ, বড়ঞা, কান্দি এবং বহরমপুর আসনে। আর এই গোটা কর্মকাণ্ডের যিনি প্রধান কারিগর ছিলেন তিনি হলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই সময় মুর্শিদাবাদের পর্যবেক্ষক হিসেবে কার্যত মাটি কামড়ে পড়ে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলের এই সাফল্য এনে দিয়েছিলেন তিনি। 

তারপরে অবশ্য রাজ্য রাজনীতিতে অনেক উত্থান পতন ঘটে গিয়েছে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁর হাত ধরে অনেকেই ঘাসফুল ছেড়ে যোগ দেন পদ্ম শিবিরে। তারমধ্যে রয়েছেন মুর্শিদাবাদের নেতা কর্মীরাও। এমনকী এখনও মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের কেউ কেউ শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে কানাঘুষো শোনা যায়। তাহলে এহেন শুভেন্দুর অনুপস্থিতিতে মুর্শিদাবাদে ঠিক কোন অবস্থায় রয়েছে তৃণমূল? উত্তরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বললেন, "মুর্শিদাবাদে এখন আমরাই শেষ কথা। আমাদের ফলাফল খুবই ভাল হবে। বাংলায় সবচেয়ে ভাল ফল আমরাই করব। ২২টা আসনও পেয়ে যেতে পারি।" একইসঙ্গে শুভেন্দুবাবুর হাত ধরে কিছু নেতা কর্মীর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের প্রসঙ্গে আবু তাহের খান (Abu Taher Khan) বলেন, "শুভেন্দুর সঙ্গে যাঁদের গন্ডগোল ছিল, তাঁরা এখন আমাদের সঙ্গে আরও বেশি করে মিশেছে। ১০ জন লোক বিগড়েছেন, তো ২০ জন পক্ষে এসেছেন।" 

Advertisement

আরও পড়ুন - Exclusive: "বিজেপি বললেও যাব না", সাফ কথা অনুব্রত মণ্ডলের

কিন্তু জেলায় অধীররঞ্জন চৌধুরীর প্রভাবকে কি একেবারে অস্বীকার করতে পারবে তৃণমূল? কারণ ২০১৯-এর নির্বাচনে শুভেন্দু সর্বশক্তি নিয়ে তৃণমূলকে জেতানোর জন্য ঝাঁপালেও বহরমপুরে অধীরকে পরাজিত করতে পারেননি। যদিও নিজের লোকসভা এলাকার অন্তর্গত ৭টি বিধানসভার মধ্যে ৪টিতে পিছিয়ে ছিলেন তিনি। তবে বাকি ৩টি বিধানসভার ব্যবধান দিয়েই বহরমপুর আসনকে নিজের দখলে রাখেন অধীর। এবারেও কংগ্রেস এবং সংযুক্ত মোর্চার হয়ে জোরদার প্রচার চালাচ্ছিলেন তিনি। তবে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আপাতত প্রচারের জন্য ভার্চুয়াল মাধ্যমকেই বেছে নিতে হয়েছে তাঁকে। রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস আগের চেয়ে দুর্বল হলেও অধীর ফ্যাক্টর কিন্তু পুরোপুরি ফিকে হয়ে যায়নি। যদিও আবু তাহের খান অবশ্য সেই কথা মানতে নারাজ। তাঁর সাফ কথা,"অধীর ক্যারিশ্মা, অধীর গড় ছিল, এখন সব ভেঙে দিয়েছি। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করছেন, রাজনীতির ময়দানে দাবি, পালটা দাবি থাকবেই। তবে বাস্তবেই মুর্শিদাবাদের মাটিতে তৃণমূল কতটা সাবলম্বী হয়েছে তা বোঝা যাবে নির্বাচনের ফলাফলে। 

 

Advertisement