সাম্প্রদায়িক ভাষণের অভিযোগে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২৪ ঘণ্টার জন্য ব্যান করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ভোট চলাকালীন কমিশনের বিরুদ্ধে কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না প্রতিবাদ বেনজির।
আরও পড়ুন: ঠিক কী কারণে মমতার প্রচার ২৪ ঘণ্টা ব্যান করল কমিশন?
মমতা ও ধর্না রাজনীতি
বস্তুত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না রাজনীতি নতুন নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই নিজেকে স্ট্রিট ফাইটার বলে দাবি করেন। এবং আক্ষরিক অর্থেই রাস্তায় নেমে রাজনীতি করাই তাঁর স্বভাবসিদ্ধ। এবারও একেবারে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসছেন মমতা। মঙ্গলবারে মমতার ধর্নার আগে দেখে নেওয়া যাক তৃণমূল সুপ্রিমো অতীতের কিছু ধর্না-রাজনীতি।
সিঙ্গুর আন্দোলন ও ২৬ দিনের অনশন ধর্না
সিঙ্গুর আন্দোলনের সেই দিনগুলি নিশ্চয়ই মনে আছে? সিঙ্গুরে টাটাদের ন্যানো কারখানার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে টানা ২৬ দিনের অনশন ধর্না করেছিলেন মমতা। যার নির্যাস, মমতার তীব্র আন্দোলনের জেরে শেষ পর্যন্ত ২০০৮ সালের অক্টোবরে ন্যানো প্রকল্প প্রত্যাহার করে টাটা গোষ্ঠী।
নন্দীগ্রাম আন্দোলন
২০০৭ সালে সিঙ্গুরে গুলি চলল। ১৪ জনের মৃত্যু। তীব্র আন্দোলনে নামলেন মমতা। বাংলার বুদ্ধিজীবী মহল মমতার সঙ্গে হাত মেলালেন। কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে সফল আন্দোলন করলেন মমতা। যার নির্যাস, বামেদের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল।
মমতা বনাম সিবিআই
২০১৯ সালেও একই ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারদা কাণ্ডের তদন্তে কলকাতা পুলিশের তত্কালীন কমিশনার রাজীব কুমারকে সিবিআই জেরার বিরুদ্ধে ধর্নায় বসেন মেট্রো চ্যানেলে। সেই ধর্নার নাম দিয়েছিলেন, 'সংবিধান বাঁচাও।'
CAA-NRC বিরুদ্ধে
২০২০ সালের জানুয়ারি মাস। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, এনআরসি-র বিরুদ্ধে ধর্না প্রতিবাদের আয়োজন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু ধর্নাই নয়, প্রায় ১০ কিমি হেঁটে পদযাত্রাও করেন তিনি। তীব্র হুংকার দিয়ে বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে সিএএ-এনআরসি যদি কার্যকর করতে হয় কেন্দ্রকে, তা হলে আমার লাশের উপর দিয়ে করতে হবে।'