আজ সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তেজস্বী যাদব। আজ বিকালে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে কথা বলতে পারেন তিনি। সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার প্রার্থী দেবে আরজেডি। তবে প্রথমে শোনা যাচ্ছিল বাম,কংগ্রেস ও আইএসএফের জোটে সামিল হতে পারে। কিন্তু রবিবারে ব্রিগেডে তেজস্বী যাদবকে দেখা যায়নি। পরে তেজস্বী যাদব জানান তিনি ধর্মনিরপেক্ষ দলের সঙ্গেই থাকবেন। জানা যাচ্ছে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলকে পুরো সমর্থন দেবে তেজস্বী। সেই বার্তা দিতেই আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন লালু পুত্র।
বৈঠক ঘিরে জল্পনা
জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে আসন নিয়ে ইতিমধ্যে বৈঠক হয়েছে দুই দলের। কয়েকমাস আগে বিজেপি-জেডিইউ জোটের কাছে হারতে হয় তেজস্বীর মহাজোটকে। তারপরেও তেজস্বীকে ফোন করে তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন মমতা। ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ধর্মতলায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না মঞ্চে এসেছিলেন তেজস্বী যাদব। তিনি এসে মমতার পাশে থাকার বার্তাও এছাড়া বিরোধী নেতাদের নিয়ে ব্রিগেডে সমাবেশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও দেখা গিয়েছিল লালু পুত্রকে।
আরও পড়ুন, দলের রণকৌশল ঠিক করতে রবিবার কলকাতায় আসছেন RJD-র তেজস্বী
বাংলায় আরজেডির প্রভাব
বাংলার বিধানসভা ভোটের নিরিখে এখানে আরজেডির সংগঠন ওতোটা মজবুত নয়। তবে এর আগে কলকাতায় আরজেডির বিধায়ক ও কাউন্সিলর ছিল। কিন্তু ২০১১ সালে পরিবর্তনের হওয়ায় সেই সব চিহ্ন এখন আর নেই। তবে হিন্দিভাষী এলাকায় এখনও কিছু জায়গায় আরজেডির পকেট ভোট রয়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তবে শুধুমাত্র আরজেডি নয়, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারের আরও দুই দল জেডিইউ ও হাম-ও প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা করে রেখেছে।
নয়া সমীকরণ?
জানা যাচ্ছিল, বামেদের সঙ্গেও নাকি কথাবার্তা চলছিল আরজেডির। এমনকি ব্রিগেডে তেজস্বী যাদবও উপস্থিত থাকতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু রবিবারের ব্রিগেডে আরজেডির কাউকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। এই অবস্থায় এখন তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলতে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সম্ভবত যেতে চলেছেন তেজস্বী যাদব।