Dilip Ghosh Speaks: টেট (Primary Tet) আন্দোলনকারীদের জোর করে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে বিজেপি (BJP) সহ সমস্ত বিরোধী দল (Opposition) পথে নামছে। এ বিষয়ে সমস্ত দলকে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, বিজেপি প্রতিবাদে পথে নামছে। মানুষের প্রতি অত্যাচার চলছে, অপশাসন চলছে। তার বিরুদ্ধে সমস্ত দলেরই প্রতিবাদ করা উচিত।" রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই বলেও মন্তব্য তাঁর।
রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই
শুক্রবারও রোজকার মতো নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। স্বভাবসিদ্ধ ঢংয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। তিনি রাজ্যকে আক্রমণ করেই মন্তব্য করেন। এপিসি ভবনের সামনে থেকে রাতে জোর করে তুলে দেওয়া হয়েছে টেট আন্দোলনকারীদের। এ প্রসঙ্গে দিলীপবাবুর দাবি, "এ সরকার কাজও করবে না। তার বিরুদ্ধে আন্দোলনও করতে দেবে না। আমরা যখন রাস্তায় নামি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ চলে আসছে, গ্রেফতার করছে, সরিয়ে দিচ্ছে লাঠি পেটা করছে।"
আরও পড়ুনঃ দার্জিলিঙে টাইগার হিলে সানরাইজ দেখা যাবে? শর্তসাপেক্ষে কাটল জটিলতা
তিনি এদিন আরও বলেন, "যাঁরা পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছেন , চাকরির জন্য এত দিন আবেদন নিবেদন করেছেন, এখন তাঁরা অনশন করছেন, তিন দিন ধরে রাস্তায় ছিলেন, তাদের নির্মম ভাবে ধাক্কা মেরে তুলে দিয়েছে। এই সরকার নিজে গণতন্ত্রের কথা বলে আর পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই।" সল্টলেকে এ পি সি ভবনের সামনে টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন মঞ্চে বাম-কংগ্রেস-বিজেপিকে দেখা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলকে ডাকেননি। নিজের অধিকারের জন্য অন্দোলন করছে, যেহেতু মানবিক ব্যাপার তাই সব দলের নেতারা গিয়েছেন। এর মধ্যে রাজনীতির ব্যাপার নেই। যে পরীক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন তাঁরা যেভাবে জীবনকে বাজি রেখেছেন, সব পার্টির লোকেরা সমর্থন করতে এসেছেন। সকলের করা উচিত বলেও তাঁর দাবি।
আরও পড়ুনঃ শিয়ালদহ-হাওড়া থেকেই এবার ট্রেনে সোজা গ্যাংটক-নাথুলা, খুব শীঘ্রই
লোক দেখানো ইন্টারভিউ
আপার প্রাইমারির ইন্টারভিউ (Upper Primary Interview) নিয়েও খুব একটা আশাবাদী নন তিনি। তিনি বলেন, "পরীক্ষা বহুবার হয়েছে। কিন্তু রেজাল্ট আসেনি। সাময়িকভাবে উত্তেজনা প্রশমিত করতে ইন্টারভিউ হচ্ছে। ইন্টারভিউ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খালি পদে নিয়োগ হওয়া উচিত। তাঁর দাবি, "আমরা জানি এগুলো লোক দেখানোর ব্যাপার। কিন্তু তার পরিণাম কি হচ্ছে সেটা দেখতে হবে। যে স্কুলে শিক্ষক নেই বাচ্চারা যায় ঘুরে আসে সেখানে নিয়োগ হওয়া উচিত। শুধু স্কুল নয় সরকারি সমস্ত পদে কর্মচারীরা অবসর হচ্ছে, কিন্তু নতুন করে নিয়োগ হচ্ছে না। ফলে অফিসে লোক নেই। তাদের দেনা পাওনা তৈরি হয়নি। আবার এদের নিয়ে কোথাও দুয়ারে সরকারে কাজে লাগানো হচ্ছে। দফতরের লোক নেই, খাতা তৈরি হচ্ছে না। কবে পেনশন পাবেন ঠিক নেই।"
টেট উত্তীর্ণ (Tet Pass) চাকরি প্রার্থীদের এই আন্দোলনকে সামনে রেখে বিরোধীরা কি উজ্জীবিত হচ্ছে কি না, জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, রাজ্যে যে পরিস্থিতি চলছে তাতে আন্দোলন চলবে। সমস্ত বিষয় নিয়ে মানুষ ক্ষুব্ধ। এমনকী তৃণমূলের পার্টির মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে কেউ কাউকে সহ্য করতে পারছে না। "অসহিষ্ণু পরিবেশ কেন তৈরি হচ্ছে?" সরকার বিফল হলে এমন পরিবেশ তৈরি হয়।" পাল্টা দাবি তাঁর।