বর্ষাকালে দেওয়ালের ড্যাম্প পড়া (Wall Damp) বহু বাড়ির একটি বড় সমস্যা। এ সময় অনেক বাড়িতে বিভিন্ন দেওয়ালে ড্যাম্প দেখা যায়। বাড়ি পুরনো হয়ে গেলে বা কোনও কারণে দেওয়ালে জল প্রবেশ করলে ড্যাম্পের বিদঘুটে ছোপ ধরে। বর্তমান সময়ে ভেজাল মেশানো জিনিস দিয়ে বাড়ি তৈরি করার কারণে হামেশাই নতুন বাড়িতেও ড্যাম্প দেখা যায়। তবে সাধারণত বর্ষাকালে বা স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার কারণেই দেওয়ালে ড্যাম্পের সৃষ্টি হয়।
ভেন্টিলেটর ওরফে ঘুলঘুলি থেকে দেওয়ালে জল চুঁইয়ে পড়ে ড্যাম্প হতে পারে। আবার কোনও ফাটল থাকলে সেখান দিয়েও জল ঢুকে ড্যাম্প হয়ে যেত পারে। দেওয়ালে ড্যাম্প হলে তা শুকিয়ে পলেস্তারা ফুলে যায়। কিছুদিন পরেই সেই ড্যাম্প ধরা জায়গা থেকে পলেস্তারা খসে পড়তে থাকে। এমন বিষয় বাড়ির সৌন্দর্য নষ্ট করার পাশাপাশি বিরক্তিরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে কিছু নির্দিষ্ট উপায় অবলম্বন করে দেওয়ালে ড্যাম্প ধরা আটকানো সম্ভব।
দেখে নিন কী কী ঘরোয়া উপায়ে এই ড্যাম্প অনেকাংশ রোধ করতে পারেন:
১) খোলামেলা ঘরে ড্যাম্প হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। একই ঘরে বেশি জিনিসপত্র না রেখে পর্যাপ্ত আলো- হাওয়া চলাচলের জায়গা রাখতে হবে। দেওয়ালের সঙ্গে যেন কোনও আসবাব লেগে না থাকে সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আসবাব এবং দেওয়ালের মধ্যে যথেষ্ট ফাঁকা রাখুন যাতে হাওযা চলাচল করতে পারে।
২) যদি দেওয়ালের কোনও ফাটল দিয়ে জল চুঁইয়ে এসে ড্যাম্পের সৃষ্টি হয় তবে রাজমিস্ত্রি দিয়ে ফাটল মেরামত করিয়ে নিতে হবে। আশপাশের দেওয়ালেও জলরোধক রাসায়নিক মিশিয়ে প্লাস্টার করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব সেই অংশ রং করিয়ে নিতে হবে।
৩) যদি বাড়িতে এসি থাকে তবে অতিরিক্ত সময় এ সি চালিয়ে রাখার জন্য ড্যাম্প ধরতে পারে। সে ক্ষেত্রে এ সির ব্যবহার কম করে ঘরের জানলা দরজা খোলা রেখে রোদ-হাওয়া প্রবেশের ব্যবস্থা করাতে হবে।
৪) বৃষ্টিতে যদি আসবাবপত্রে ভেজাভাব আসে তবে বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর সব আসবাব ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে।
৫) ড্যাম্প ধরা জায়গায় জিপসাম প্লাস্টার ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও, ড্যাম্প ধরা জায়গায় ছত্রাক জন্মালে সাদা ভিনিগার দেওয়া যেতে পারে।
৬) বাড়িতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করলে দেওয়ালে ড্যাম্প ধরার সম্ভাবনা কম থাকে।
৭) রান্নাঘরে চিমনি থাকলে তেল ও ময়লা থেকে দেওয়ালে ড্যাম্প হতে পারে। রান্নাঘরের দেওয়ালে ড্যাম্প ধরা আটকাতে চিমনি নিয়মিত পরিষ্কার করাতে হবে।